Advertisement

শেবাচিম হাসপাতালের ৯৫ অচল মেশিন সচল

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে দীর্ঘদিন অচল থাকা ৯৫টি মেশিন সচল করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে ন্যাশনাল ইলেকট্রো ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার থেকে আসা ৭ সদস্যের কারিগরি টিমের সহায়তায় এসব মেশিন সচল করা হয়েছে।

রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মশিউল মুনীর।

হাসপাতাল পরিচালক বলেন, হাসপাতালের রেডিওলজি এবং ইমেজিং, প্যাথলজি, সিসিইউ, আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, চক্ষু বিভাগ, সাজারি, নাক-কান-গলা বিভাগের বিভিন্ন অকেজো মেশিন চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এনজিওগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, ল্যাসিক, ওসিটি, লিথোরিপটর, এন্ডোসকপিসহ আরও ২০টি মেশিন সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কারিগরি টিমের সদস্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অপটিক্যাল) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে ৬টি অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন, ২৫টি সাকশন মেশিন, ১০টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর, ৫টি অটোক্লেভ, ১টি সি-আর্ম মেশিন, ২টি মনিটার, ৮টি ওটি টেবিল, ৫টি ব্লাড ব্যাংক রেফ্রিজারেটর, ১০টি হাই ফ্লো নাসাল ক্যানুলা, ৫টি আইসিইউ বেড, ৬টি ওটি লাইট, ৫টি ডেন্টাল ইউনিট, ২টি ডায়াথার্মি মেশিন, ৪ ইসিজি মেশিন ও ১টি এক্স-রে মেশিনসহ ৯৫টি মেশিন মেরামত শেষে সচল করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ১টি করে ইকো, কার্ডিয়াক ডিফাইব্রিলেটর, কার্ডিয়াক মনিটার, ইসিজি ক্যাথল্যাব (এনজিওগ্রাম), সিটি স্ক্যান, চোখের লেসিক, চোখের ফ্যাকো, অপটিক্যাল কোহেরেন্স টমোগ্রাফি (ওসিটি), ইউরোলজি লিথোরিপটর, আরও ১টি সি-আরম, এক্স-রে, এন্ডোসকপি মেশিন মেরামত শেষে চালু করা হবে। এই মেশিনগুলোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমাদের দেশে না থাকায় বিদেশ থেকে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সময় দিতে হবে। দক্ষ টেকনোলজিস্ট বা জনবলের অভাবে দীর্ঘ দিন মেশিনগুলো বন্ধ থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউল মুনীর বলেন, রোগী সেবার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে ১টি এমআরআই মেশিন, ক্যাথল্যাব ও সি-আম মেশিন পেতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সফলতার কথা কেউই বলে না। আর সেবা জোর করে হয় না, ভালোবাসা দিয়ে নিতে হয়। সমস্যা হলে ধৈর্য ধরতে হয়। মানুষকে বুঝতে হবে হাসপাতালে রোগী সেবার জন্য যে পরিমাণে জনবল প্রয়োজন তা আমাদের নেই।

আরও পড়ুন

Lading . . .