Advertisement

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে শেবাচিম চিকিৎসকরা

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

চিকিৎসকের ওপর হামলা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার বেলা ৩টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন তারা।

রাতে শেবাচিম হাসপাতালের মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে রোগীরা জীবন হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তি হয়ে ওয়ার্ডে এসে চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর স্বজনরা দুর্ভোগে পড়ছেন।

এর আগে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবির আন্দোলনের ছাত্র-জনতা শেবাচিম হাসপাতালের প্রধান গেটে বিক্ষোভ করেন। তখন ছাত্র-জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে চিকিৎসকসহ তিনজন আহত হন বলে দাবি করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধ ও রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। এ সময় পরিচালককে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু রোববার আবার আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এছাড়া হাসপাতালের স্টাফদের ওপর হামলা চালায়। হাসপাতাল ভবনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এমন পরিস্থিতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো।

মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় ওই ঘটনার পর থেকেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন চিকিৎসকরা। এর ফলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। তবে হাসপাতাল পরিচালকের বিশেষ অনুরোধে ও পুলিশের করা নিরাপত্তায় এবং মুমূর্ষু রোগীদের স্বার্থে আমরা মিড লেভেল চিকিৎসকরা বিকাল ৫টার পর থেকে শুধু জরুরি সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, চিকিৎসককে মারধর করায় দুপুরের পর ভয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও স্বজনরা কান্না শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের কর্মস্থলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের দিয়ে আপাতত জরুরি সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Lading . . .