প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বরিশাল নগরীতে ২২ থেকে ২৩টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও বর্তমানে কোনোমতে হাতেগোনা দু’তিনটি খাল টিকে আছে। বাকি খালগুলো দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে ঘণ্টাখানেক ভারি বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় নগরী। বছরের পর বছর ধরে চলা এই দুর্ভোগ লাঘবে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষ জোরেশোরে নেমেছে খাল খননে। এই কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধিতে ৭০১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী।
তিনি বলেন, নগরীর মধ্যে সব খাল খনন করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্তের পাশাপাশি খাল দখলমুক্ত করার মধ্যদিয়ে নান্দনিকতা বৃদ্ধি। খাল খনন কার্যক্রমের ব্যাপকতা বৃদ্ধিতে ৭০১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রকল্প পাস হলে আরও দ্রুতগতিতে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তখন খালের পাশে বাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। তখন স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে নগরীর বাসিন্দারা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক রায়হান কাওসার বলেন, ঘনবসতি এলাকায় ১০০ মিটার পর এবং বসতি কম সেখানে ২৫০ মিটার পর রাস্তার পাশে ডাস্টবিন বসানোর কাজ করছি। মানুষ সেখানে ময়লা ফেলবে। কিছুদিন আগেও ময়লা-আবর্জনায় যে খালের পানি দেখা যেত না, এখন সেই খালে মাছ ধরা যাবে। দেখা যাবে খালের পানিতে ছুটে বেড়াচ্ছে হাঁসের দল।
বরিশাল বিভাগের পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খাল খনন ও সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং আমরা মনে করি খালগুলোকে যদি আগের মতো প্রবাহমান করা যায়, তাহলে বরিশালের পরিবেশ একটি ইতিবাচক দিকে ধাবিত হবে।