Advertisement

পিরোজপুরে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

চাঁদাবাজির মামলায় জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মারুফ হাসানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। গতকাল শুক্রবারছবি: প্রথম আলো
চাঁদাবাজির মামলায় জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মারুফ হাসানকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। গতকাল শুক্রবারছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক মারুফ হাসান ওরফে মারুফ পোদ্দারকে (৪৮) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের ক্লাব রোডে তাঁর মালিকানাধীন বিলাস হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল সকালে পিরোজপুর সদর থানায় বালু ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ চাঁদাবাজির অভিযোগে মারুফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মারুফ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। এ কারণে ১০ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পিরোজপুর জেলা যুবদলের শীর্ষ তিন নেতা ও ভান্ডারিয়া উপজেলার যুবদলের নেতাসহ তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদ ও সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তখন বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের অপকর্মের দায়ভার নেবে না এবং তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মারুফ মামলার বাদী জুয়েল শেখ ও তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী রিপনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পাশাপাশি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার কথাও বলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁদের মারধর ও খুনজখমের হুমকি দেন মারুফ। ৫ আগস্ট দুপুরে মারুফের নেতৃত্বে মিরন, মিলনসহ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শহরের বলেশ্বর ব্রিজসংলগ্ন জুয়েলের মালিকানাধীন ‘মেসার্স রুমু এন্টারপ্রাইজ’-এর সামনে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। অস্বীকার করায় মারুফ হকস্টিক দিয়ে জুয়েলকে পেটাতে থাকেন। রিপন বাধা দিলে তিনিসহ অন্যরা লাঠি ও রড দিয়ে দুজনকে মারধর করেন। পরে জুয়েল অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেও মারুফ ও তাঁর সহযোগীরা ভেতরে ঢুকে তাঁর হাত-পা বেঁধে পেটাতে থাকেন। এ সময় তাঁরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যান এবং দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক যুবদল নেতা মারুফ হাসানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Lading . . .