Advertisement

সৈকতে ভেসে এলো বিরল প্রজাতির পাইন্না সাপ

কালবেলা

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসা বিরল প্রজাতির পাইন্না সাপ। ছবি : কালবেলা
কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসা বিরল প্রজাতির পাইন্না সাপ। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিরল প্রজাতির একটি মৃদু বিষধর কাঁকড়া-ভুক পাইন্না সাপ। এর ইংরেজি নাম (Crab-eating Water Snake, Fordonia leucobalia)। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ ফুট।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্বপাশ থেকে অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করেন।

সৈকতের ওয়াটার বাইক চালক আব্দুল সালাম প্রথমে সাপটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনকে খবর দেন। পরে উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা) ও অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী, কুয়াকাটা পৌরসভার পরিছন্নকর্মী ও বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে সাপটি উদ্ধার করে নিরাপদে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।

অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইং প্রধান আসাদুল্লাহ হাসান মুছা জানান, কাঁকড়া-ভুক পাইন্না একটি বিরল প্রজাতির পানিসাপ। এটি মৃদু বিষধর হলেও মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, সাপটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি কাঁকড়াকে টুকরো টুকরো করে খায়, যা সাপের জগতে বিরল। সুন্দরবনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এ প্রজাতির দেখা মেলে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, উত্তাল ঢেউয়ের স্রোতে সাপটি সৈকতের বালিতে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় ও পর্যটকরা ভিড় করলেও কেউ এটিকে মারেনি। পরে প্রশিক্ষিত টিম এসে বনবিভাগের সহায়তায় উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়।

বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, কাঁকড়া-ভুক পাইন্না সুন্দরবনে পাওয়া বিরল ও এটি মৃদু বিষধর পানিসাপ। এর প্রধান খাদ্য কাঁকড়া ও জলজ প্রাণী। নিশাচর ও লাজুক স্বভাবের এই সাপ মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেক সময় মানুষ অকারণে সাপ মেরে ফেলে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Lading . . .