প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ
প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে উঠেছে। তিন দিনেও খোঁজ না মেলায় অভিযুক্ত রবিউলকে প্রধান করে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
বৃহস্পতিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- আমতলী উপজেলার পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মো. নুর সায়েদ আকনের ছেলে রবিউল (২৩), তার বাবা মো. নুর সায়েদ আকন, মা আকলিমা বেগম ও রবিউলের বন্ধু আরিয়ান গাজী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু।
স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, স্থানীয় একটি হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী। রবিউল তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি মেয়ে তার পরিবারকে জানায়। রবিউলের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের সামনে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এতে রবিউল অপমানিত বোধ করে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ৫ আগস্ট সকালে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছলে রবিউল ও তার বন্ধু আরিয়ান গাজী তাকে ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি রবিউলের বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে আমার মেয়েকে ফেরত চাই। তারা আমার মেয়েকে দেওয়ার কথা বলে আর দেয়নি। আমার ধারণা রবিউল আমার মেয়েকে কোথাও আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। তিন দিন পর্যন্ত খোঁজ করে আমার মেয়েকে পাইনি।
রবিউলের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত কোর্টের আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।