Advertisement

বরিশালে চিকিৎসা খাত সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা দূরসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। শনিবার দুপুরে নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায়ছবি: প্রথম আলো
স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা দূরসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। শনিবার দুপুরে নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার আধুনিকায়নসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

তিন দফা দাবি হলো শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।

যানবাহনের চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। এতে ঢাকার সঙ্গে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। পরে বেলা তিনটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করা হয়। ‘ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে তিন দফা দাবিতে গত ১০ দিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।

আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘বরিশালে সরকারি হাসপাতাল সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ চিকিৎসা পায় না। স্বাস্থ্য খাতের এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ১০ দিন আন্দোলনের পর আজ আমরা বরিশাল ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন করলেও মন্ত্রণালয় বরিশালের মানুষের এই সমস্যার কথা শুনছে না। এটা আর চলতে দেওয়া হবে না। আমরা এই দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে ও সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে।

Lading . . .