Advertisement

যুবদল কর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ২ জামায়াত কর্মী গুলিবিদ্ধ

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোপালপুরে ফুটবল খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক যুবদল কর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বেতুয়াবাগ গ্রামের ওয়াসেকের দোকান এলাকায় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- গোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের যুব বিভাগের সদস্য মো. সজীব হোসেন (২০) ও মো. তুষার (২১)। তারা একই এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় জামায়াতের যুব বিভাগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট বিকালে উপজেলার গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে মনির পাটোয়ারী স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের কর্মী রাসেলের সঙ্গে বিএনপির কর্মী মানিকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় একদল অস্ত্রধারী। ওই সময় একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। পরবর্তীতে শনিবার রাতে অস্ত্র নিয়ে জামায়াতের কর্মীদের ধরতে পুনরায় এলাকায় তল্লাশী চালায় তারা।

বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতায় বসলে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদলের কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে লেদু, সোহেল, ফয়সাল, আশরাফ, হাসেম, মেরাজ ও মানিক জামায়াত কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হাবিব তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে জামায়াতের যুব বিভাগের কর্মী সজীব ও তুষার গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ব্যাপারে জানতে যুবদল কর্মী হাবিব ও ছাত্রদল কর্মী মহসিনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা জানান, শিবিরের কর্মীরা তাদের ঘিরে ফেললে আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে।

তার ভাষায়, ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’।

এদিকে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমনের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাব।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, স্কুল ভবনের ছাদের ওপরে উঠে ভালোভাবে খেলা দেখা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয়। আরও অভিযোগ ছিল খেলায় জুনিয়র খেলোয়াড সুযোগ পায়, সিনিয়র খেলায়াডরা সুযোগ পায় না। এসব নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সন্ধ্যার দিকে বৈঠক বসে মিটমাট করে দেন। যাতে আর কোনো সমস্যা না হয়।

কিন্ত বৈঠক শেষে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, একপক্ষ দাবি করছে তারা তাদের লোক। আরেক পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। গুলি কোন পক্ষ করেছে তা বলতে ওসি অস্বীকৃতি জানান।

তবে বেগমগঞ্জ পশ্চিম অঞ্চলে অস্ত্রের ঝনঝনানি কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দেয়নি।

Lading . . .