প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্বর্ণের দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল ও রাত—দুই সময়ই ঝাড়ু দেওয়া হয়। তবে এই ঝাড়ু দেওয়া শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, এর পেছনে রয়েছে বাড়তি উপার্জনের একটি রহস্য।
দোকানের মালিক ও কারিগররা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা ধুলো-বালি ফেলে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমিয়ে রাখেন। এক বছর পর এই ধুলো-বালি বিক্রি করে আয় করছেন মোটা অঙ্কের টাকা। কেউ কেউ এই ধুলো-বালি থেকে বছরে দেড় লাখ টাকার মতো আয় করছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, স্বর্ণের গহনা তৈরি করার সময় কারিগরদের কাটিং, পলিশ, ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বর্ণের কণা নিচে পড়ে যায়। সাধারণ ধুলো-বালির সঙ্গে মিশে যাওয়া এই স্বর্ণকণাগুলো তারা যত্ন করে জমিয়ে রাখেন এবং বছর শেষে নির্দিষ্ট পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
জুটন দাস নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ধুলো-বালিরও অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনের উচ্ছ্বিষ্ট ফেলে না দিয়ে তা আমরা জমিয়ে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে পারি৷ আমি সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকাও বিক্রি করেছি। তবে এখন বেচাকেনা একটু কম।
আরেক ব্যবসায়ী সাঈদী ইসলাম বলেন, আমাদের দোকানের ধুলো-বালি, ব্যবহৃত কাপড়সহ সকল উচ্ছ্বিষ্টই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারি। সাধারণ মানুষরা শুনলে বিশ্বাসই করবে না যে, আমাদের দোকানের ধুলো-বালির দামও হাজার হাজার টাকা। আমি প্রতিবছর ৬০-৭০ হাজার টাকার ধুলো-বালি বিক্রি করি। এতে যা আয় হয় তা থেকে দোকান ভাড়া ও কারিগরকেও খুশি করি।
আরও পড়ুন