ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশ: ২০ আগস্ট, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার ‘বিজয়নগর সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে উপজেলার চান্দুরা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েন যাত্রীরা।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। নতুন খসড়ায় বিজয়নগরের হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে ওই এলাকায় জড়ো হন। সেখানে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া কর্মসূচি শেষ হয় বেলা দুইটার দিকে।
সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলা করা হচ্ছে। বিষয়টি বিজয়নগরবাসী কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজয়নগর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সদরে আসনে ছিলাম, সেখানেই থাকতে চাই। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করতে পারবে না।’
এদিকে মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে সিলেটগামী এবং সিলেট থেকে ঢাকাগামী অসংখ্য যানবাহন সড়কের দুই পাশে আটকা পড়েন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা। ঢাকাগামী যাত্রী আল আমিন আজ দুপুরে জানান, সিলেট থেকে সকাল নয়টায় রওনা হয়ে চান্দুরা এলাকায় আটকা পড়েছেন। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন তিনি।
অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে যাচ্ছিলেন সেলিনা বেগম নামের এক নারী। মিতালি পরিবহনের এই যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর প্রশ্ন, আন্দোলন যে কেউ করতে পারে। কিন্তু মহাসড়কে কেন?
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করেছি, তাঁদের দাবির বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উপজেলাবাসীকে একই অনুরোধ করা হয়েছে। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।’