প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কুমিল্লার লাকসামে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত এক নারীর গর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বিকেল ৫টায় লাকসাম-নাঙ্গলকোট রোডের দামবাহার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে মোহাম্মদপুর গ্রামের মাজেদা খাতুন (৬০) রাত সোয়া ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। রাত সাড়ে ১০টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে নাওটি গ্রামের অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া (২০) মারা যান। এ ছাড়া পা বিচ্ছিন্ন হওয়া অন্তঃসত্ত্বা মিনা আক্তারের (২৫) গর্ভের সন্তান মারা গেছে।
নাওটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুর্ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে লাকসাম এবং গুরুতর আহত ৫ জনকে কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহতরা অটোরিকশার যাত্রী। তারা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে আজগরা ইউনিয়নের নাওটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন। গুরুতর আহত অন্য তিনজনের অবস্থাও সংকটজনক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা একটি কুমিল্লা সুপার যাত্রীবাহী বাস নাঙ্গলকোট যাচ্ছিল। বাসটি দামবাহার নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কটি তুলনামূলক ব্যস্ততম ও সরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সড়কটির উন্নয়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দাবি জানান তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সড়কে পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।