‘ভালো করতে হলে প্রতিটি সেকেন্ড কাজে লাগাতে হবে’
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘জীবনে ভালো কিছু করতে হলে প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে হবে। সময়ের প্রতি যত্নবান হতে না পারলে সাফল্য ধরা দেবে না। ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড নিয়ে একটি দিন হয়। এর প্রতিটি সেকেন্ড কাজে লাগাতে হবে। তবে সাফল্য ধরা দেবে।’
আজ রোববার কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এসএসসিতে জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় এ কথা বলেন এ কে এম ফজলুল করিম। ‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় আজ সকাল ১০টায় এই উৎসব শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের। এরপর ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জিপিএ–৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাদক থেকে দূরে থাকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের তাগিদ দেন কক্সবাজারের প্রবীণ শিক্ষক ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখা থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবে না। স্বপ্ন দেখলে সফল হবেই। ১৯৭১ সালে মানুষ স্বপ্ন দেখেছে। ২০২৪ সালেও স্বপ্ন দেখেছে। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। জীবনে সফল হতে হলে তোমাদেরও স্বপ্ন দেখতে হবে।’
প্রথম আলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টস এর প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান বলেন, ‘মাদক, মুখস্থ, মিথ্যাকে ‘না’ বলতে হবে। মাকে ভালোবাসতে হবে। মাকে বড় করতে হবে। মাকে বড় করলে মাতৃভূমি হয়। মাকে বড় করলে ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর হয়। এদিন বাংলাদেশ প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। মাকে ভোলা যাবে না। আমাদের আরেকটা অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেটা হচ্ছে, ধন্যবাদ দেওয়া। উঠতে, বসতে ধন্যবাদ দিতে হবে। কখনো ধন্যবাদ দিতে ভুলব না।’
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. সৈয়দ করিম বলেন, ‘তোমরাই পারবে কক্সবাজারকে পরিবর্তন করতে। একদিন তোমরাই প্রধান অতিথির চেয়ারে বসবে। তোমাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি তোমাদের সেই আসন গড়ে দেবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি উপস্থিত কৃতী শিক্ষার্থী, তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
আব্দুল কুদ্দুস শিক্ষার্থীদের সত্য তথ্য জানতে প্রথম আলো, কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা পড়ার পরামর্শ দেন। উচ্চশিক্ষিত হয়ে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কক্সবাজার জেলা বন্ধুসভার সদস্য সাউদা উম্মুল ফজল।
এরপর বন্ধুসভার সদস্যরা পরিবেশন করেন প্রথম আলোর থিম সং, ‘তুমি, আমি, আমরা জিপিএ-৫ ’। গানটি শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে তোলে।
এরপর শিক্ষার্থীদের পছন্দের দুটি গান গেয়ে শোনান চট্টগ্রামের কণ্ঠশিল্পী নুসরাত জাহান অর্পিতা। শিক্ষার্থীদের গান এবং কৌতুকে মাতিয়ে রাখেন মীরাক্কেল খ্যাত কমরউদ্দিন আরমান। তিনি শিক্ষার্থী জীবনমুখী স্বপ্ন দেখার তাগিদ দেন।
আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই কনকা-গ্রি এবং সহযোগিতায় ছিল কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
জিপিএ–৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন কক্সবাজার জেলা বন্ধুসভার সভাপতি ফাহিম কুদ্দুস প্রিয়।