ভয় দেখিয়ে ১ মাস ধরে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ৫ যুবক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট, ২০২৫

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ভয় দেখিয়ে ১ মাস ধরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে ৫ পাহাড়ি যুবক। এ ঘটনায় ৩ জন পাহাড়ি যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি দুজনের খোঁজে পুলিশের অভিযান চলছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে।
আটকরা হলেন- রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের আলেচুপাড়ার বাসিন্দা ক্যহ্লাওয়াং মারমা (৩০), উহাইসিং মারমা (২২) এবং ক্যসাইওয়াং মারমা (২৩)।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- চহাই মার্মা (২০) এবং ক্যওয়াংসাই মার্মা (২০)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গত এক মাস ধরে ওই পাড়ার পাঁচ যুবক ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্রমাগত ধর্ষণ করে আসছিল। প্রথমে এক বন্ধু ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বিষয়টি অন্য বন্ধুদের জানালে পরে ওই পাঁচ বন্ধু মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করতে থাকে শিক্ষার্থীকে। পরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঘটনাটি নিয়ে ওই পাড়ায় সামাজিক বিচার বসলে সেখানে পাইন্দু মৌজার হেডম্যান মংচউ মারমা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা গংবাসে মারমা অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। ঘটনাটি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় জনগণ এই বিচার প্রত্যাহার করে এবং অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে।
এদিকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শৈহ্লাচিং মারমা বলেন, ধর্ষকরা স্থানীয় হেডম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থদণ্ডের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বেআইনি বিচার সালিশকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল করিম জানান, বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করেছে। অভিযুক্ত অন্যদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।