চট্টগ্রাম চেম্বার প্রশাসকের অপসারণ দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।
বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী ফোরামের ব্যানারে সোমবার সকালে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। তারা আনোয়ার পাশাকে ফ্যাসিবাদের দোসর অভিহিত করে অবিলম্বে তাকে অপসারণ এবং নতুন নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে চেম্বার পরিচালনা পরিষদ পদত্যাগে বাধ্য হয়। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ারা পাশাকে। সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়ে সদস্যপদ যাচাই-বাছাই ও নবায়নসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ৯০ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত পরিষদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা না করা দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে প্রশাসক হিসেবে থেকে গেছেন।
তাদের অভিযোগ, চেম্বারের যে সংবিধান বা গঠনতন্ত্র সে অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সদস্যপদ নবায়নের সময়সীমা থাকার কথা। কিন্তু প্রশাসক ১১ আগস্ট নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করেছেন। ১ সেপ্টেম্বর সদস্য পদ নবায়নের শেষ তারিখ ঘোষণা করেন। সংবিধান পরিপন্থিভাবে এটি করার কারণে হাজার হাজার সদস্য তাদের পদ নবায়ন করতে পারেননি। চট্টগ্রাম চেম্বারে ১৩ হাজার ৭০০ সদস্য রয়েছে। কিন্তু নবায়ন হয়েছে মাত্র ৬ হাজারের কিছু বেশি। এ ছাড়া অ্যাসোসিয়েট ও ট্রাউন গ্রুপ হিসেবে ভোটার করার ক্ষেত্রেও নানা অসঙ্গতির জন্ম দিয়েছেন। মূলত ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে ফ্যাসিবাদি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে- মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু ফয়েজ খান, দিদারুল আলম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শহীদুল ইসলাম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা চাই সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের মতামত ও ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। যারা ব্যবসায়ীদের সুখে-দু:খে পাশে থাকতে পারবেন। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু বর্তমান প্রশাসক ব্যবসায়ীদের আকাঙক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম চেম্বারকে আবারও খাদের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাই ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করে নতুন প্রশাসকের অধীনে, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার শেষে নতুন শিডিউলে দ্রুত নির্বাচন দাবি করছেন।