Advertisement

কুতুবদিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গায় আ.লীগ নেতার দোকান নির্মাণ

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় জেলা পরিষদের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা জবরদখল করে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে কুতবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ এবং তার ছেলে আজিজুল হক সাগরের বিরুদ্ধে।

আ. লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ সরকারি সম্পত্তি জবর দখল করেন তারা। পরে ওই জায়গায় দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেন। এ কারণে গত ১৮ বছর ধরে ওই সরকারি সম্পত্তি থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারেননি কক্সবাজার জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এ জায়গা জবরদখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও উল্টো জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

কক্সবাজার জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং মৌজার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বি.এস ৮ নম্বর খতিয়ানের বি.এস ৭১১০,৭২১১,৭২১২ এবং ৭২১৪ দাগাদিতে কক্সবাজার জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৩ একর ৮০ শতক জায়গা রয়েছে। সম্পূর্ণ জায়গা থেকে কিছু অংশ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইজারা দিয়ে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা দেওয়া হয়েছে।

অধিকাংশ জায়গা গত ১৮ বছর দখলে রেখেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা আ. লীগের সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ। বর্তমানে ওই জায়গা দেখাশোনা করছেন তার ছেলে আজিজুল হক সাগর।

সরজমিনে দেখা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে চার কিলোমিটার দূরে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়া কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন সড়কের পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় টিনসেটের ছয়টি পাকা দেয়ালের দোকান নির্মাণ করেছেন। দোকানগুলো মোটা অংকের সেলামী নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করেন আহমদ উল্লাহর ছেলে আজিজুল হক সাগর। এছাড়া জবরদখলকৃত জায়গার পেছনে রয়েছে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বড় একটি পুকুর। ওই পুকুরটিও তাদের দখল করে রেখেছেন তারা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি জায়গা ক্ষমতার জোরে জবর দখল করে রেখেছেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ এবং তার ছেলে আজিজুল হক সাগর। আ. লীগ সরকার পতনের পর পুকুরটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তাদের ক্ষমতার প্রভাবে ইজারাদার ওই পুকুরে মাছ চাষ করতে পারছেন না। ইজারাদারকেও তারা মারধরের হুমকি প্রদান করেন।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ যুগান্তরকে বলেন, জেলা পরিষদের এ জায়গা জবরদখল মুক্ত করতে আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। আশা করি দ্রুত সময়ে জেলা প্রশাসন ও কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ জায়গা উচ্ছেদপূর্বক জবরদখল মুক্ত করা হবে।

Lading . . .