বান্দরবানের কেএনএর ঘাঁটিতে সেনা অভিযান, প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বান্দরবানে রুমায় দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিভিন্ন গোপন আস্তানায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। মাসব্যাপী পরিচালিত অভিযানে প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ধ্বংস ও প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে আজ বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রেংতেলাং পাহাড় ও বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। অভিযানে রেংতেলাং পাহাড়ে কেএনএর পরিচয় দেওয়া বম পার্টির একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে কাউকে পাওয়া না গেলেও বেশ কিছু প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, কাঠের রাইফেল, স্নাইপার অস্ত্রের সিলিং, মিলিটারি বেল্ট, কার্তুজের বেল্ট, সামরিক পোশাক, বুটজুতা, কম্বল, ওয়াকিটকি চার্জার, সোলার প্যানেল, রসদ ও বিভিন্ন সামগ্রী। অভিযানে প্রশিক্ষণ ঘাঁটির প্রশিক্ষণ মাঠ, ফায়ারিং রেঞ্জ, পরিখা, ও বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের সশস্ত্র শাখা কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বম অধ্যুষিত দুর্গম এলাকায় এবং রাঙামাটি বিলাইছড়ি উপজেলার রাইংক্ষ্যং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে তৎপরতা চালতে থাকে।
কেএনএফের বিরুদ্ধে দুর্গম পাহাড়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামে সমতলের একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের অভিযোগ উঠে। তখন ২০২২ সালে অক্টোবর থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেশ কিছু উগ্রবাদী, কেএনএফের সদস্যকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলের শুরুতে কেএনএফ সদস্যরা রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশের অস্ত্র লুট করে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কেএনএএফ ও তাদের সশস্ত্র সদস্যদের বর্তমানে তৎপরতা সীমিত হয়ে পড়েছে।