Advertisement

চট্টগ্রামে ৭০ শতাংশ মোটরসাইকেলই নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক বিষয়ক গবেষণা জরিপ হাতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। আজ নগরের পেনিনসুলা হোটেলেছবি: গবেষণা সংস্থার সৌজন্যে
চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক বিষয়ক গবেষণা জরিপ হাতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। আজ নগরের পেনিনসুলা হোটেলেছবি: গবেষণা সংস্থার সৌজন্যে

চট্টগ্রাম নগরে চলাচল করা ৭০ শতাংশ মোটরসাইকেল সরকার নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে। এ ছাড়া সড়কে চলাচল করা ৪৪ শতাংশ যানবাহন গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকে এসব যানবাহন। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স-ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ বুধবার সকালে নগরের পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে জরিপের প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি কর্মসূচির আওতায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে চট্টগ্রাম নগরের ১৫টি এলাকায় সাড়ে ৪ লাখ যানবাহনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

‘রোড সেফটি রিস্ক ফ্যাক্টরস ইন চট্টগ্রাম: স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২৪’ শিরোনামে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জন হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ), সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস যৌথভাবে জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জরিপের ফল উপস্থাপন করেন জেএইচ-আইআইআরইউয়ের গবেষক শিরিন ওয়াধানিয়া। তিনি বলেন, যানবাহনের ধরন অনুযায়ী দেখা যায়, ৭০ শতাংশ মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমা লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া সপ্তাহের কর্মদিবসের তুলনায় ছুটির দিনে গতিসীমা লঙ্ঘনের হার বেশি পাওয়া গেছে। এটি কর্মদিবসে ৪২ শতাংশ ও ছুটির দিনে ৪৭ শতাংশ। তিনি জরিপের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংস্থা জন্য পরামর্শ তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটি শহরের আয়তনের তুলনায় যে পরিমাণ সড়ক থাকা প্রয়োজন, চট্টগ্রামে তা নেই। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি রোড সেফটি সেল করতে যাচ্ছি। যারা সড়কগুলোতে স্পিড সাইন ও গতি নিয়ন্ত্রক বসানোর মতো কারিগরি কাজগুলো সমন্বয় করবে।’

সিআইপিআরবির রোড সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কাজী বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফকাত আমিন। জরিপ প্রক্রিয়া সম্পর্কের জানান সিআইপিআরবির পরিচালক সেলিম মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিআরটিএর উপপরিচালক (প্রকৌশল) কে এম মাহাবুব কবির ও নগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) রুহুল আমিন।

Lading . . .