Advertisement

মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ মেরামতে দুর্নীতি, মাঠে দুদক

কালবেলা

প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেনীর পরশুরামের মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছবি : কালবেলা
ফেনীর পরশুরামের মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ছবি : কালবেলা

ফেনীর পরশুরামের মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে দুদুকের তিন সদস্যের তদন্ত টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

মূলত গত বছরের আগস্টের বন্যায় মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধ মেরামত করা একই স্থানে চলতি বছরের ৮ জুলাইয়ে পুনরায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ ও মেরামত কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছে দুদুক।

এর আগে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকাল ১০টায় এ অভিযান চালায় দুদক। এ সময় তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেনের কাছ থেকে ২০২৪ ও ২৫ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতসহ অর্থ বরাদ্দ কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এ তথ্য জানান।

সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় ভেঙে যাওয়া মুহুরী নদীর বাঁধের কাজে ঠিকাদার নিয়োগ ও বাঁধ মেরামত কাজে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পান দুদকের তদন্ত কমিশন। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের এক সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে তিনজনের একটি টিম।

সকাল ১০টায় তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে আসেন। বিভিন্ন কাগজপত্র ও নথি দেখেন। এরপর সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য ফুলগাজী ও পরশুরামের বাঁধের ভাঙা স্থান ও বাঁধের মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান জানায়, সরেজমিন পরিদর্শন ও বিস্তারিত তদন্তের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তীতে রিপোর্ট পেশ করবে দুদক।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে ৮ জুলাই ভয়াবহ বন্যায় মুহুরী, কহুয়া ও সিনোনিয়া নদীর ৩২ স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর আগে গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ৩টি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায় এতে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও পুলকালভার্টসহ ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ করে বাঁধ মেরামত করলেও পরের বছর আবারও একই স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। এতে স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে পানি উন্নয়ন কার্যালয় অভিমুখে পথযাত্রা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

Lading . . .