এক সপ্তাহে কুমিল্লা নগরীতে ২০ ছিনতাই, জড়িত কিশোর গ্যাং
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

কুমিল্লায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইচক্র। গত এক সপ্তাহে নগরীতে ২০টিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা গহনা, মোবাইল ও টাকা-পয়সা হারানোর পাশাপাশি জখমের শিকার হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ছিনতাইয়ে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা
জানা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অলিগলিতে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। ভোর, সকাল ও সন্ধ্যার পর নীরব সময়ে এসব ঘটনা বেশি ঘটছে। মোটরসাইকেলে ব্যারিকেড দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে জনমনে ক্ষোভ এবং শঙ্কা বাড়ছে।
এদিকে, নগরীর সিসি ক্যামেরাগুলো বিকল হয়ে আছে। এগুলো সংস্কার ও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ক্যামেরা স্থাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর সার্কিট হাউজ, ঈদগাহ, ফৌজদারি মোড়, শিল্পকলা একাডেমির সামনে প্রতিনিয়তই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব পয়েন্টে পুলিশের দুর্বল নজরদারি এবং সিসি ক্যামেরা না থাকায় অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া রানিরবাজার-রামমালা সড়ক, অশোকতলা, তালপুকুর, টমছম ব্রিজ থেকে পদুয়ার বাজার, ইপিজেড ফটক থেকে কুচাইতলী, মুরাদপুর চর্থা, বাগিচা গাঁও, রেসকোর্স, ছোটরা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর সার্কিট হাউজের সামনে মোটরসাইকেলে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমানের সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়। এদিন বিকালে ঈদগাহের উত্তরের সড়কে স্কুলশিক্ষক আলী আহমদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে নগরীর টমছম ব্রিজসংলগ্ন কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পাশে মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমান ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। তার কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, কিশোর গ্যাংচক্র এসব ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা না থাকায় মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান জোরদার করেছি। জনসাধারণকে সোচ্চার হতে হবে। আমরা সিটি করপোরেশনকে নগরীর সিসি ক্যামেরাগুলো সংস্কার করতে অনুরোধ করেছি। তারা শিগগিরই তা মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন। নতুন করে আরও কিছু সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্যও অনুরোধ করেছি।