Advertisement

চান্দিনায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে কিডনি বিকল যুবক হাসান

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

কুমিল্লার চান্দিনায় দুটি কিডনি বিকল মো. হাসান এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। অর্থের অভাবে ডায়ালসিস করতে না পেরে ক্রমেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে টগবগে এই যুবক। এদিকে গত ১৪ বছর যাবত কিডনির চিকিৎসা করে পৈতৃক সম্পত্তি বাড়ি ঘর সহায় সম্বল সব বিক্রি করে দিয়েছে। সর্বশান্ত হয়ে এখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুকে আলিঙ্গনের অপেক্ষা করছে এই যুবক। হাসান (৩৭) উপজেলার হারং গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। এদিকে হাসানের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহায়তা চান অসহায় পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত হন চান্দিনার পৌরসভার হারং গ্রামের যুবক হাসান। শুরুতে কুমিল্লার মুন হসপিটাল, কুমিল্লা টাওয়ার, ট্রমা সেন্টার, কুমিল্লা কিডনি হসপিটালে চিকিৎসা সেবা নেন। দিনে দিনে তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়ে। পরে ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর শ্যামলী বিএসএইচ হসপিটালে ডাঃ আব্দুল ওহাব খানের তত্বাবধানে তার চিকিৎসা করা হয়।

বর্তমানে চিকিৎসক সপ্তাহে তিনটি ডায়ালাইসিস করার নির্দেশনা দিলেও অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে চিকিৎসা চালানো দুরের কথা তার এক ছেলে এক মেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। অপরদিকে ডায়ালসিস করতে না পেরে হাসান নিজ বাড়িতেই অক্সিজেন নিয়ে দিনরাত পার করছে।

অসহায় হাসানের চিকিৎসায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি পরিবারের।

মুমূর্ষ কিডনি বিকল হাসান বলেন, কিডনির চিকিৎসা করতে করতে সহায় সম্বল সব বিক্রি করে দিয়েছি। সাড়ে তিন বছর যাবত ডায়ালাইসিস করাইছি। এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা করাতে পারছি না। সপ্তাহে তিনটি ডায়ালাইসিস করার নির্দেশনা দিয়েছে চিকিৎসক। কিন্তু আমার হাতে কোন টাকা পয়সা নেই। তাই এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছি।

হাসানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, চোখের সামনে আমার স্বামী দিন দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। আমি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চাই। আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আমার স্বামীকে সহায়তা করুন। তাকে যেন একটু চিকিৎসা করাতে পারি।

আরও পড়ুন

Lading . . .