হাটহাজারী থানার নতুন ওসির যোগদানের আগেই ‘অসন্তোষ’
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তানিয়া সুন্নিপন্থিদের সংঘর্ষের পর আন্দোলনের মুখে মডেল থানার আগের ওসিকে প্রত্যাহারের পর নতুন দায়িত্ব পাওয়া মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়ার যোগদান নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ ওসির যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে তিনি হাটহাজারী মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন; এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে আগের কর্মস্থলের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।
নব্য যোগদান করা ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া এর আগে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত শনিবার হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার দুইপক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তৎকালীন ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেনের অপসারণের দাবি ওঠে। রোববার শিক্ষার্থীরা এ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে রাতে তাকে থানা থেকে অপসারণ করে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখায় বদলি করা হয়।
এরপর হাটহাজারীর নতুন ওসি হিসেবে মনজুর কাদের ভূঁইয়ার নাম সামনে এলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান। বিভিন্ন পোস্টে তাকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে হাটহাজারীতে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আগের কর্মস্থল চকরিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে হত্যা, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর মতো গুরুতর সব অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব অভিযোগে এর আগে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সেখানে বিক্ষোভও হয়েছিল।
ঈদগাঁও উপজেলার বাসিন্দা আকতার হোছাইন নামে এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ থাকাকালে মনজুর কাদের একটি মিছিলে গুলি চালান, এতে তার ভাই রশিদ আহমদ নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় মনজুর কাদের দুই নম্বর আসামি বলে তিনি দাবি করেন। মনজুর কাদের হাটহাজারী মডেল থানায় যোগদানের খবরে সর্বত্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, পূর্ববর্তী সময়ে ওসির বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলার বিচারিক ও পুলিশি তদন্ত হয়েছিল। এসব তদন্তে তার (ওসি) সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।