Advertisement

টেকনাফে অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা পাঁচজনকে উদ্ধার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়া থেকে টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হন দুই যুবক। তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই দুই যুবককে খুঁজতে অভিযান শুরু করে। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল পাহাড়ি এলাকার সন্ধান মেলে একটি আস্তানার। সেখান থেকে নিখোঁজ দুই যুবক, এক গৃহবধূ ও তাঁর দুই শিশুসন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় পাঁচজনেরই হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল।

আজ মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। এর আগে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পাঁচজন হলেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনার পাড়ার মো. আদনান (২১), একই এলাকার মো. হাশেম (২২), টেকনাফের শামলাপুর এলাকার বাসিন্দা আবু তাহেরের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৩০), তাঁর মেয়ে আজমা আক্তার (১৪) ও ছেলে সাইফুল ইসলাম (১০)।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার আব্দুল হক মেম্বারের ছেলে মো. ফয়সাল (৩০) এবং একই ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুল (৩৫)।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, উদ্ধার হওয়া যুবক আদনান, হাশেম ও রাফিয়া বেগম পূর্বপরিচিত। আদনান ও হাশেমকে নিয়ে রাফিয়া ২ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদনান, হাশেম, রাফিয়া ও তাঁর দুই সন্তান শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ থেকে অপহরণের শিকার হন।

দুর্জয় বিশ্বাস আরও বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মুঠোফোনে আদনান ও হাশেমের পরিবারের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এক ব্যক্তি। নিখোঁজ যুবকদের পরিবার মুক্তিপণের টাকাও পাঠান। কিন্তু তার পর থেকেই অপহরণকারীদের মুঠোফোন বন্ধ পান তাঁরা। এরপর যুবকদের উদ্ধারের আশায় তাদের স্বজনেরা টেকনাফে এলেও তাদের মুক্তির জন্য চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। বাধ্য হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে অপহরণের শিকার আদনানের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (৩০) বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দেন। ওই রাতেই পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এতে এজাহারভুক্ত আসামি মো. ফয়সালকে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এবং মোহাম্মদ কামরুলকে বড় ডেইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশই মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে এসেছে।

Lading . . .