কোম্পানীগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতাসহ তিনজন আহত
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি-যুবদল নেতাসহ ৩ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাতে ও রোববার বিকালে চরএলাহীর গাংচিল এবং বসুরহাট পৌরসভার হাসপাতাল রোডে পৃথক দুটি স্থানে দুটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
আহতরা হলেন- চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন (৫০), তার ভাই প্রবাসী বেলাল হোসেন (৩৭), একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড গাংচিলের যুবদলের প্রচার সম্পাদক ইদ্রিস (৩৫)।
আহত বেলাল হোসেন জানান, ভাই সাহাব উদ্দিনসহ তিনি বসুরহাট হাসপাতাল গেটে চা-নাস্তা খাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদারের অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক তোতা চেয়ারম্যানের ছেলে ইব্রাহিম, ইসমাইল, সাব্বির ও বাহাদুরসহ ১০-১৫ জন হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা করে।
এর আগে শনিবার রাতে চরএলাহী ইউনিয়নে গাংচিলে একই সন্ত্রাসীরা গাংচিলের যুবদলের প্রচার সম্পাদক ইদ্রিসের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলন ও রাতে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য বিএনপি নেতা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্টের পর কোম্পানীগঞ্জের চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সব ধরনের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে নানা অপকর্ম হয়ে আসছিল। থানায় কেউ মামলা দিতে গেলেও পতিত সন্ত্রাসের গডফাদার কাদের মির্জার মত শিকদারের অনুমতি না পেলে পুলিশ এখনো মামলা নেয় না। উপরন্তু কোনো কোনো পুলিশ অফিসার সন্ত্রাসীদের আত্মীয় স্বজনদের বাসায় ভাড়া থেকে তাদের রসদ যোগায়। এতে সন্ত্রাসীদের এখন রমরমা অবস্থা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্রমান্বয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় নুরুল আলম শিকদারের অনুসারী চর এলাহীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার আসামী ইব্রাহিম তোতা, ইসমাইল তোতা, সবুজ তোতা, বাহাদুররা বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন যুবদল নেতা ইদ্রিসকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।
অতিদ্রুত ও স্বল্প সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার ও শান্তি শৃঙ্খলা না আনতে পারলে হরতাল, অবরোধসহ বৃহৎ কর্মসূচি দেয়া হবে বলে বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম হুৎশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা মহিলা দলের সভাপতি ভিপি শাহানাজ পারভীন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক, বিএনপি নেতা আফতাব আহমেদ বাচ্চু,আহ্বায়ক কমিটির সদস্য একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশিদ ভুঁইয়া, জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীর প্রমূখ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কোনো অভিযোগ না পেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে ।