Advertisement

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামেফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামেফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ।

সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন মো. ইমরান হোসেন (৩৫), হাসান (২২), রাসেল (৩০), মো. আলমগীর (৩৫), মো. নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)। তাঁরা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ইমরান, হাসান ও রাসেল সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার আটজন সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি।
এর আগে গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ১ হাজার ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) আবদুর রহিম বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এই মামলা করেন। এতে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি করা হয় আরও এক হাজারজনকে।

এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি। ছাত্রীকে মারধরের বিষয়টি এজাহারে উল্লেখ না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী আবদুর রহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এজাহার লেখা হয়েছে।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মাহমুদ কাওসার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে স্থানীয় জোবরা গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা মো. হানিফ, মো. ইকবাল, মো. রেজাউল, মো. সরোয়ার, সোলাইমান, মহি উদ্দিন, খোরশেদ, জিসান ও আরমান রয়েছেন।

গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন।

Lading . . .