লোহাগাড়ায় কাজে যোগ দেননি পবিসের ১০১ কর্মকর্তা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চার দফা দাবিতে ‘গণছুটির’ নামে অনুপস্থিত থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এমন নির্দেশনার ৩ দিন পরও কাজে যোগ দেননি লোহাগড়া পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ১০১ কর্মকর্তা। এতে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া জোনাল অফিসে ১০৭ জনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ১০১ জন গণছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিজিএম রফিকুল ইসলাম খান।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, ১০৭ কর্মকর্তার মধ্যে ৬ জন কাজে যোগ দিয়েছেন। ২ থেকে ৩ কর্মকর্তা এদিক সেদিকে ঘুরছেন। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিল জমা ও অন্য সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
জরুরি সেবা নিতে আসা মো. হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, আমি এসেছিলাম সেবা নিতে; কিন্তু এসে দেখি কোনো লোকজন নেই। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে পাইনি। এখন ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো আরও অনেকেই সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। আমরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী দলিলুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই দিন যাবত পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাচ্ছি, কাউকে পাচ্ছি না। বিল জমা দিতে পারছি না, এতে জরিমানার শঙ্কা রয়েছে। এর বিচার কার কাছে দেব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানিয়েছেন, বর্তমানে ২ জন সাব-স্টেশনে আর ২জন অভিযোগ কেন্দ্রে দায়িত্বপালন করছেন। বাকিরা গণছুটিতে রয়েছেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে এ আন্দোলন দীর্ঘদিন চলতে পারে। তারা বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে হঠাৎ কর্মবিরতি পালনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। বিদ্যুতের সংযোগ, মেরামত ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত সমস্যার সমাধান এবং বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ১০৭ জনের মধ্যে ১০১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গেছেন। এতে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনে এখন পর্যন্ত বড় আকারে কোনো প্রভাব পড়েনি।
তিনি বলেন, এখন যারা আছেন, তাদের অতিরিক্ত ডিউটি দিয়ে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে তা আর সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন