Advertisement

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি ও সড়ক

কালবেলা

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়ছে ফসলি জমি ও বিভিন্ন সড়ক। বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে ফসলি জমি ও এলাকার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা গেছে, খিলা, বাইশগাঁও, সরসপুর ,মৈশাতুয়া, ঝলম দক্ষিণ, উত্তর হাওয়ালা ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করেন একটি প্রভাবশালী মহল। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি, খালে, পুকুরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসায়। ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করা বালু বেশিরভাগই বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর ভরাটের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এতে সড়ক ও ফসলি জমির ভেঙে পড়ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানালেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

মৈশাতুয়া ইউনিয়নের খানাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু বিক্রি করছে অনেকে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও কোনো পদেক্ষেপ নেয়নি। এতে এলাকার অনেক ফসলি জমি ও বিভিন্ন সড়ক এখন হুমকির মুখে পড়ছে। আমি নিজেও ভুক্তভোগী।

খিলা ইউনিয়ন দিশাবন্দ গ্রামের মো জাকির হোসেন ভোলন বলেন, ড্রেজার মেশিন সমাজের একটি ক্ষতিকর মেশিন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে বির্পযয়ে পড়বে ফসলি জমি ও সড়ক।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে বলেন, ড্রেজার বিষয়ে আমি কোনো সংবাদ পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছি। পুলিশ চলে এলে তারা পুনরায় চালু করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড কয়েকজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। উপজেলার কোথাও যদি ড্রেজার মেশিন বসায়, আমাকে জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Lading . . .