Advertisement

কোম্পানীগঞ্জে ৭টি বালুবাহী বাল্কহেড ও ৯টি ড্রেজার মেশিন জব্দ

যুগান্তর

প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ছবি: যুগান্তর
ছবি: যুগান্তর

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও যৌথ বাহিনী। এ সময় ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী থেকে ৭টি বালুবাহী বাল্কহেড (ট্রলার), ৯টি ড্রেজার মেশিন এবং ৫টি বালুব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত কয়েক লাখ ঘনফুট বালু জব্দসহ ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ যৌথ বাহিনী সহযোগিতা করে।

জব্দকৃত কয়েক লাখ ঘনফুট বালুসহ বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- নিউ মক্কা ট্রেডার্স, সেজান এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, নোয়াখালী ট্রেডার্স ও জেএসএস ট্রেডার্স।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী পথে প্রতিদিন অসংখ্য বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করে। প্রশাসন থেকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা অমান্য করে বাল্কহেড চলাচল অব্যাহত থাকে। নদীপথে এসব বাল্কহেড চলাচলের কারণে তীব্র ঢেউয়ে নদীর তীরবর্তী মানুষের বসতবাড়ি ও স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়ে। এছাড়া বাতাসে বালু উড়ে গিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ও পথচারী চোখের সমস্যায় ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একাধিকবার মানববন্ধনও করে। সম্প্রতি বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে চরএলাহী ব্রিজসহ আরও কয়েকটি স্থাপনা।

অভিযানে আটক ১৮ জনের মধ্যে একজনকে ২০ দিন এবং অপর ১৭ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বালুমহালগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটক ১৮ জনকে দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের ১৮৮ ধারায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালুবাহী বাল্কহেড, ড্রেজার মেশিন ও জমাকৃত বালু প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন

Lading . . .