রিজানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও জ্বলে উঠলেন অলরাউন্ডার রিজান হোসেন। ১০টি চারের সাহায্যে ৯৬ বলে ৯৫ রানের ইনিংসের পর ৩৪ রান খরচায় নিলেন ৫ উইকেট। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন সতীর্থরা। দাপুটে পারফরম্যান্সে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
রোববার হারারেতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৩৩ রানে জিতেছে টাইগার যুবারা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান তোলে তারা। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ২৩৬ রানে।
উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ আনে ৪১ রান। এরপর ৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার রিফাত বেগ (২২ বলে ১৬ রান) ও জাওয়াদ আবরার (৪২ বলে ২১ রান)। তিনে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম (২৭ বলে ৭ রান) দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে বিদায় নিলে বাড়ে চাপ।
এরপর বিশাল জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দল। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রান যোগ করেন রিজান ও কালাম সিদ্দিকি। এই জুটি ভাঙে কালামের বিদায়ে। তিনি ৭৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ছয়টি চারের সাহায্যে। রিজান থামেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে। ততক্ষণে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সামিউন বশির খেলেন কার্যকর ইনিংস। দুজনই দ্রুত রান আনেন। আবদুল্লাহ পাঁচটি চারে ২৯ বলে ৩৮ ও বশির দুটি চারে ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
রান তাড়ায় ভালো শুরু মেলে দক্ষিণ আফ্রিকার। ৮ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে ৫৯ রান তোলার পর উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। আদনান ল্যাগাডিয়েন আউট হন ৩১ বলে ৪০ রানে। কিছুক্ষণ পর আরেক ওপেনার জরিক ফন শ্যালকউইককেও থামান ফাহাদ। তিনি করেন ২২ বলে ১৯ রান।
তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মুহাম্মেদ বুলবুলিয়া ও জ্যাসন রাওয়েলস। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে মঞ্চে ফের আবির্ভূত হন রিজান। তার পাশাপাশি ফাহাদ ও স্বাধীন ইসলাম মিলে তৈরি করেন ভীষণ চাপ। ফলে ১৬৪ রান সপ্তম উইকেট খুইয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা।
অষ্টম উইকেটে বান্ডিলে এমবাথা ও এনটান্ডো সোনি মিলে ৫৯ রান যোগ করলেও তা শেষমেশ কেবল বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধানই কমায়। তাদের দুজনকেই ঝুলিতে ঢোকান রিজান। এরপর জেজে ব্যাসনকে বোল্ড করে তিনি পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। বাকিগুলোর তিনটি ফাহাদ ও দুটি স্বাধীন নেন।
প্রোটিয়াদের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কে গেলেও কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি। ল্যাগাডিয়েনের ইনিংসই সর্বোচ্চ। এছাড়া, বুলবুলিয়া ৪৩ বলে ৩১, রাওয়েলস ৫৩ বলে ৩৫, এমবাথা ৪০ বলে ২৯ ও সোনি ৩২ বলে ৩৪ রান করেন।