প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

নুরুল হাসান সোহানের জাতীয় দলে কামব্যাকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু নির্বাচকরা একটু সময় নিয়েছেন। কেন সে সময় নিয়েছেন, সেটি এবার পরিষ্কার করলেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এশিয়া কাপের দলে সাইফ হাসানকে নেওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সোহানের বিষয়ে বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিন্তু একটা প্রক্রিয়া থাকে, প্রসেস থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের তরফ থেকে ডিপ ড্রাইভ থিংকিংও থাকে। কোনো সময় হয়তো হয় আমরা দলে নিই না ফর গ্রেটার ইন্টারেস্ট। সোহানকে নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল শ্রীলঙ্কা সফরের সময় টি-টোয়েন্টি দলে। আমরা তখন ভেবেছি দলের যে ফরমেশন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। খুব খুব কম।’
অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬টি ম্যাচে বাংলাদেশ 'এ' দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোহান। তার আগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন গ্লোবাল সুপার লিগ। তাকে এই সুযোগটাই দিতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘ওই সময় আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে, সে যদি প্রস্তুতির জন্য গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে...আমরা জানতাম সে 'এ' দলের হয়ে ডারউইনে খেলতে যাবে। তো তারও একটা প্রস্তুতি হয়ে যায়। ১০ ম্যাচের মতো খেলা হয়ে যায় এশিয়া কাপের মতো প্ল্যাটফর্মে আসার আগে। সেজন্য আমরা বলেছিলাম সে আমাদের খুব কাছের নজরে আছে। আমরা হয়তো তাকে আন্তর্জাতিক লেভেলের এক্সপোজার দিতে পারিনি। কিন্তু পরেই যে ধাপ, তার সঙ্গে আরও অনেকে সুযোগ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার। প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজ, চ্যালেঞ্জ, পারফর্ম কীভাবে করবে, কীভাবে ভালো করবে এসব। কেউ ভালো না করলে কী করলে পারফরম্যান্সটা আকাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিতে পারে এসব।’
‘ইনফ্যাক্ট, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় হিউজ চ্যালেঞ্জেস কিংবা পারফরমার নাই। আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার যে জায়গাটা, তার এপ্রোচ অফ ক্রিকেট, প্যাটার্ন অব ক্রিকেট..স্পেশালি পাঁচ-ছয়ের জায়গায়, আমরা মনে করি একটা খুব ভালো চয়েজ। জাকের আলীর ব্যাকআপের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে তাকে সেরা মনে করছি।’
সাইফ হাসানকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কোচ-অধিনায়ক, নির্বাচক মণ্ডলী; আমরা অনেক আলোচনা করেছি। উপরের দিকে একটা ক্রুশাল শর্ট অব বোলার দরকার ছিল। এক ওভার–দুই ওভারের একটা পারপাস তিনি এড্রেস করতে পারবেন। নম্বর তিন-চার এবং যদি ওপেনার দরকার হয়, সে আলোকে সাইফের দিকে চোখ ছিল। এবার তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নম্বর চারে খেলার মতো ভালো ব্যাটার, একইসঙ্গে প্রয়োজনে তিনি উপরেও যদি কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ওপেন করার সক্ষমতা রাখেন। আমরা এরকম মাল্টিপল প্লেসে এড্রেস করার মতো প্লেয়ার খুঁজছি।’
‘প্রথম ১১ জন নির্বাচনের মুখ্য ভূমিকায় থাকে অধিনায়ক এবং প্রধান কোচ। আমাদেরও কিছু মতামত থাকে। ওপেনিংয়ে আমরা একটা সেটেল জায়গায় আছি, আমাদের ওপেনিং পেয়ার নিয়ে যদি কোনো ইনজুরি ইস্যু না আসে, সে জায়গায় অপেক্ষা করতে হবে সুযোগের জন্য। তাকে তৈরি থাকতে হবে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্য। সাইফের ব্যাপারটা উপরে এবং মাঝখানে, তাওহিদ হৃদয়েরও যদি কোনো সমস্যা হয়, এই দুইটা জায়গাতেই কাভার করতে পারবেন’-যোগ করেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।