প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

জাসপ্রিত বুমরাহর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এবং বেছে বেছে ম্যাচ খেলা নিয়ে অনেকদিন ধরেই ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছে। প্রায় সময়ই দেখা গেছে, অতিরিক্ত চাপ দিলেই ভেঙে পড়ে তার শরীর। এর নেপথ্যে অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন দায়ী বলে মনে করেন অনেকে। তবে সেই অ্যাকশন বজায় রাখতে গিয়ে বেশ অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে এই পেসারকে।
সম্প্রতি পেসার হতে বুমরাহর আত্মত্যাগের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন ভারতের সাবেক বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলায় বুমরাহকে খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হয়েছে। মাঝে তার বোলিং অ্যাকশন বদলের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। আর তাই আসল অ্যাকশন ফিরিয়ে আনা হয়।
‘বম্বে স্পোর্ট এক্সচেঞ্জ’-এ অরুণ বলেছেন, ‘২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিবিরে এনসিএ-তে এসেছিল বুমরাহ। সে সময় দলে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ৩০ জনের দলে ছিল। সত্যি বলতে আমরা ওর বোলিং অ্যাকশন বদলাতে চেয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল ওর বলের গতি বাড়ানো। নতুন অ্যাকশনটা খুবই ভাল ছিল। কিন্তু বুমরাহ কিছুতেই জোরে বল করতে পারছিল না। বলে যদি গতিই না আসে তা হলে নতুন অ্যাকশনে লাভ কী?’
অরুণের সংযোজন, ‘বুমরাহ ভালই জোরে বল করতে পারত। গতি আচমকা কমে যাওয়ায় ফিজিও এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে কথা বলি। আমি চাইছিলাম না ওর আসল বোলিং অ্যাকশন বদলাতে। একে তো সেই অ্যাকশন অন্য রকম, তার উপর বলের গতিও ছিল। সমস্যা ছিল একটাই, ওর শরীরে প্রচুর চাপ পড়ত।’
শরীর ঠিক রাখতে গিয়ে বুমরাহকে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে হতো। তিনি সেটা মেনেও নিয়েছিলেন। অরুণের কথায়, ‘আমরা বুমরাহকে বলি, জোরে বল করতে হলে ষাঁড়ের মতো শক্তি চাই। তার জন্য সঠিক খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা এবং আত্মত্যাগ দরকার। বুমরাহ সঙ্গে সঙ্গে সব মেনে নিয়েছিল। ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করেছিল, জিমে যাচ্ছিল রোজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিরাট কোহলির মতোই ফিটনেসের ব্যাপারে প্রচণ্ড দায়বদ্ধ ছিল বুমরাহ। সে বার্গার, পিৎজা, মিল্কশেক খেতে খুব ভালবাসত। কিন্তু ভালো ক্রিকেটার হতে রাতারাতি সব ছেড়ে দিয়েছিল। পাঞ্জাবি ছেলের পক্ষে গুজরাটে থাকা সহজ ছিল না। কিন্তু বুমরাহের কাছে খাবারের থেকেও প্রিয় ছিল বোলিং।’
এএল