Advertisement

বিশ্বরেকর্ড ব্যবধানে হারের পর শাস্তিও পেল দক্ষিণ আফ্রিকা

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতেও ওয়ানডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ডের মাটিতেও ওয়ানডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তারা বিশ্বরেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৪২ রানে হেরে যায়। এমন হারের পর আইসিসির কাছ থেকে শাস্তিও পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। ধীরগতির (স্লো ওভার রেট) ম্যাচ খেলায় প্রোটিয়াদের ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল (রোববার) আগে ব্যাট করতে নেমে আফ্রিকান বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ইংলিশ ব্যাটাররা। দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে তারা ৪১৪ রানের পাহাড় গড়ে। ফলে বোলিং ইনিংসে নির্ধারিত সময়ে ওভার সম্পন্ন করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্দিষ্ট সময় শেষে তাদের আরও এক ওভার বাকি ছিল। যে কারণে আইসিসি এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ খেলা শেষে তাদের স্লো ওভার রেটের শাস্তি প্রদান করেন।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২২ অনুচ্ছেদে খেলোয়াড় এবং দলীয় স্টাফদের আচরণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে। যেখানে বলা হয়– কোনো দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খেলা সম্পন্ন করতে না পারলে প্রতি ওভারের জন্য খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ জরিমানা করা হবে। নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানিতে যেতে হয়নি প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমাকে। তাদের শাস্তির বিষয়ে মূল্যায়ন করেছেন অনফিল্ড আম্পায়ার নিতিন মেনন ও রাসেল ওয়ারেন, তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও চতুর্থ আম্পায়ার মাইক বার্নস।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, গতকাল সাউদাম্পটনে জ্যাকব বেথেল ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় ২০.৫ ওভারে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে অবশ্য প্রোটিয়াদের ১০ জন ব্যাট করেছে। চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামেননি দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তবে তার দল ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান ৭২ ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ২০.২ ওভার ব্যাট করেছে।

ওয়ানডের ইতিহাসে এর আগে সবচেয়ে বড় রানের ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার। ২০২৩ সালে তারা ভারতের কাছে হেরেছিল ৩১৭ রানে। এবার লঙ্কানদের লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ইংলিশদের কাছে ৩৪২ রানে হেরেছে।

এএইচএস

Lading . . .