ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে গ্রেফতার, জামিন পেলেন পাকিস্তান তারকা
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ধর্ষণের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে গ্রেফতার পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলি জামিন পেয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করেছিল গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ।
সন্দেহভাজন হিসেবে হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ এখনও তদন্তাধীন থাকায় তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের শাহিন্সের (এ দল) হয়ে সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন হায়দার। এই সফর শেষ করে দলের বাকি সদস্যরা বহুদলীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেলেও আইনি ঝামেলায় পড়ে ম্যানচেস্টারেই রয়ে গেছেন হায়দার।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ এক বিবৃতিতে ক্রিকইনফোকে বলেছে, ‘২০২৫ সালের ৪ আগস্ট সোমবার আমাদের কাছে ধর্ষণের একটি অভিযোগ আসে।যার প্রেক্ষিতে ২৪ বছর বয়সী একজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, এই ঘটনাটি ২৩ জুলাই (বুধবার) ম্যানচেস্টারের একটি বাসায় ঘটে। অভিযুক্তকে পরবর্তীতে জামিন দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগীকে আমাদের কর্মকর্তারা সহায়তা প্রদান করছেন।’
জানা গেছে, হায়দার আলিকে গ্রেফতার করা হয় বেকেনহ্যামে, যেখানে শাহিন্স দল সফরের শেষ ম্যাচটি খেলছিল। হায়দার পাঁচটি ম্যাচই খেলেন, যার মধ্যে ২২ ও ২৫ জুলাইয়ের দুইটি ম্যাচ রয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এই দুই ম্যাচের মাঝেই (২৩ জুলাই) ম্যানচেস্টারে ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হায়দারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে ফৌজদারি তদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছে এবং তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তারা যুক্তরাজ্যের আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল এবং হায়দারকে আইনি সহায়তা প্রদান করছে।
২৪ বছর বয়সী হায়দার আলি পাকিস্তানের হয়ে ২টি ওয়ানডে এবং ৩৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২০ সালে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি পেশোয়ার জালমির হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে ডাক পান তিনি। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। ম্যানচেস্টারেই ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৩ বলে ৫৪ রান করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন।
ঝলক দেখিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেওে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন হায়দার। বারবার দল থেকে বাদ পড়েন। তবে হায়দারের ব্যাটিং দক্ষতা এবং আগ্রাসী স্টাইল এখনো তাকে জাতীয় দলের কাছাকাছি রেখেছে। শাহিন্সের হয়ে এই সফরই ছিল তার জাতীয় দলের ফেরার বড় সুযোগ। কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় হয়তো সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেছে হায়দারের।
পিসিবি জানিয়েছে, যতক্ষণ না আইনি প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না।
আরও পড়ুন