রিজওয়ানের নেতৃত্বে নামছে পাকিস্তান, বাবরের সামনে দুই মাইলফলক
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বরের পর থেকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাচ্ছেন না বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। অভিজ্ঞ দুই তারকা ব্যাটার খেলছেন টেস্ট আর ওয়ানডেতে। সর্বশেষ তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন গেল ৫ এপ্রিল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। আজ রাতে আবার বাবর-রিজওয়ানকে দেখা যাবে পাকিস্তানের জার্সিতে।
শুক্রবার রাত ১২টায় রিজওয়ানের নেতেৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামবে পাকিস্তান। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে।
বারব-রিজওয়ানের ভ্ক্তদের জন্য আজকের রাতটি নিশ্চয়ই রোমাঞ্চকর। কেননা ৪ মাস পর প্রিয় দুই তারকাকে পাকিস্তানের জার্সিতে দেখতে যাচ্ছেন তারা।
মাঠে নামার আগে বাবরের সামনে রয়েছে দুই মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি। আজকের ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলেই তিনি ভাগ বসাবেন পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাইদ আনোয়ারের রেকর্ডে।
পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক সাইদ আনোয়ার। ২৪৭ ম্যাচে তার সেঞ্চুরি ২০টি। অন্যদিকে ১৩১ ম্যাচে বাবরের শতক ১৯টি। অর্থাৎ আজ তিন অংক স্পর্শ করতে পারলেই সাইদ আনোয়ারকে ছুঁয়ে ফেলবেন ৩০ বছর বয়সী বাবর।
পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরি:
সাইদ আনোয়ার: ২৪৭ ম্যাচে ২০ সেঞ্চুরি
বাবর আজম: ১৩১ ম্যাচে ১৯ সেঞ্চুরি
মোহাম্মদ ইউসুফ: ২৮১ ম্যাচে ১৫ সেঞ্চুরি
ফখর জামান: ৮২ ম্যাচে ১১ সেঞ্চুরি
মোহাম্মদ হাফিজ: ২১৮ ম্যাচে ১১ সেঞ্চুরি
পাশাপাশি বাবরের সামনে রয়েছে বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলার সুযোগও। আজকের ম্যাচে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারলে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ২০ সেঞ্চুুরি মালিক হবেন পাকিস্তান তারকা।
ওয়ানডে দ্রুততম ২০ সেঞ্চুরি হাঁকানোর তালিকায় সবার ওপরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা। ১০৮ ইনিংসে ২০ বার তিন অংক স্পর্শ করেছিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি। আর ভারতীয় তারকা ক্রিকেট কোহলিকে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে খেলতে হয়েছে ১৩৩ ইনিংস।
দ্রুততম ২০টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার:
হাশিম আমলা: ১০৮ ইনিংস
বিরাট কোহলি: ১৩৩ ইনিংস
এবি ডি ভিলিয়ার্স: ১৭৫ ইনিংস
রোহিত শর্মা: ১৮৩ ইনিংস
অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় রিজওয়ান জানিয়েছেন, তার দল এই সিরিজের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রমাণ করতে মুখিয়ে আছে।
রিজওয়ান বলেন, আমরা ওয়ানডে ফরম্যাটে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে চাই। এই কঠিন কন্ডিশনে অ্যাওয়ে সিরিজটি আমাদের তরুণ দলের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হবে। আমাদের দলে সুফিয়ান মুকিম এবং হাসান নওয়াজের মতো কিছু উদীয়মান খেলোয়াড় আছে, যারা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের ঘরের মাঠে খেলা কখনোই সহজ নয়। তবে আল্লাহর রহমতে আমরা ব্যাট এবং বল হাতে নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করবো এবং সিরিজ জয় করার লক্ষ্যে খেলবো। তাদের দলেও কিছু রোমাঞ্চকর খেলোয়াড় রয়েছে, যা ম্যাচগুলোকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলবে।
ইতিহাসে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৭ বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তান জয় পেয়েছে ৬৩টিতে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৭১ ম্যাচে। ১৯৯১, ১৯৯৩ ও ২০১৩ সালে তিনটি ম্যাচ টাই হয়েছিল।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১১টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ৬টি। ১৯৯৩ সালের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ এ শেষ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ১৯৯১ সালের নভেম্বরে।
পাকিস্তান স্কোয়াড:
মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), সালমান আলি আগা (সহ-অধিনায়ক), আবদুল্লাহ শফিক, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি, হাসান নওয়াজ, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, সাইম আয়ুব, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।