Advertisement

আবারও বৃষ্টি, আবারও বন্ধ খেলা

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আবারও বৃষ্টি, আবারও বন্ধ খেলা
আবারও বৃষ্টি, আবারও বন্ধ খেলা

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বারবার বৃষ্টির বাধায় পড়ছে। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর একবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ৪০ মিনিট। এবার প্রথম ইনিংসের শেষ দিকে এসে আবারও বৃষ্টির কবলে পড়লো ম্যাচটি।

এ রিপোর্ট লেখার সময় দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ। ততক্ষণে বাংলাদেশের রান ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪। ২০ রানে রানে জাকের আলি অনিক এবং ১১ বলে ২২ রানে ব্যাট করছিলেন নুরুল হাসান সোহান।

এর আগে প্রথমবার বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচ। অধিনায়ক লিটন দাস ঝোড়ো ব্যাটিং করে তুলে নিলেন ৪৬ বলে ৭৩ রান। অন্যরা খুব বড় কোনো কিছু করতে না পারলেও মাঝারি মানের অবদান রেখে দলের স্কোরকে চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন।

এর আগে প্রথমবার বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকলো। এরপর খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের খেলা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪০ মিনিটের খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলেও কোনো ওভার কমানো হয়নি। অর্থাৎ পূর্ণ ২০ ওভারেরই খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

টস হেরে ব্যাট করতে সূচনাটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাইফ হাসান উদ্বোধনী জুটিতে তুললেন ৩৯ রান। এরপর লিটন আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল; কিন্তু বৃষ্টির বাধায় তখন খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস কেরে ব্যাট কনরতে নামার পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন সাইফ হাসান ও লিটন দাস। এ সময় ১২ রান করে কাইল ক্লেইনের বলে আউট হয়ে যান সাইফ হাসান। তাওহিদ হৃদয় আউট হন ৯ রান করে। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১৯ বল খেলে আউট হন ২১ রান করে। লিটন দাস ৪৬ বল খেলে ৭৩ করে আউট হন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাজে।

প্রথম দুই ম্যাচেই টস জিতেছিল টাইগাররা। টস জিতে অধিনায়ক লিটন দাস নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছেন তারা। শেষ ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকতার। এই ম্যাচে টস জিতলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

টস হেরে ব্যাট করতে হচ্ছে টাইগারদের। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে আনা হয়েছে ৫টি পরিবর্তন। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। একাদশে নেয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনকে।

পরিবর্তন এনেছে নেদারল্যান্ডসও। প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন টিম প্রিঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছিল সিকান্দার জুলফিকারকে। শেষ ম্যাচে জুলফিকারকে বাদ দিয়ে আবার ফেরানো হয়েছে টিম প্রিঙ্গলকে।

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।

নেদারল্যান্ডস একাদশ

ম্যাক্স ও’দাউদ, ভিক্রমজিৎ সিং, অনিল তেজা নিদামানুরু, স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শারিজ আহমেদ, নোয়াহ ক্রোয়েস, টিম প্রিঙ্গল, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, দানিয়েল দোরাম।

Lading . . .