Advertisement

কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের ফোন পেলেন মুদি দোকানদার, একটু পরই হাজির পুলিশ

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

পেশায় তিনি এক মুদির দোকানের মালিক। ভারতের ছত্তিশগড়ের সেই মনিশ আচমকাই চলে এসেছেন খবরের শিরোনামে। কারণ তাকে যে ফোন করেছিলেন বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, রজত পাতিদাররা! প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে তাদের সঙ্গে পাল্টা মজা করতে শুরু করেছিলেন এই দোকানদার। শেষে মনিশের ভুল ভাঙল বাড়ির দরজায় পুলিশ হাজির হওয়ায়।

ছত্তিশগড়ের গারিয়াবন্দ জেলার দেবভোগ গ্রামের একটি দোকানের মালিক মনিশ বুঝতেও পারেননি তার জীবনে এমন দিন আসবে। রাতারাতি তিনি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে স্বল্প সময় পরই আবার বাস্তবের মাটিতে ফিরেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ জুন। স্থানীয় দোকান থেকে একটা সিমকার্ড কিনেছিলেন মনিশ। মোবাইলে সিম ভরে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করতেই সেখানে দেখা যায় পাতিদারের ছবি। মনিশ এবং তার বন্ধু খেমরাজ ভেবেছিলেন, বিষয়টা নেহায়েতই মজার। কিন্তু এরপরই একের পর এক ফোন আসা শুরু হয়। কেউ নিজেকে বিরাট কোহলি, আবার কেউ এবি ডি ভিলিয়ার্স বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন

মনিশ এবং খেমরাজও মজা পেয়ে যান। তারা নিজেদের ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি’ বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। এরপর ১৫ জুলাই অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন পান মনিশ। উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, “ভাই, আমি রজত পাতিদার। এই নম্বরটা আমার। দয়া করে ফেরত দিন।” তখনও মনিশ মজা করে বলেন, “আমি এমএস ধোনি।”

ফোনের ওপাশে থাকা সেই ব্যক্তি বারবার বোঝালেও লাভ হয়নি। শেষে তিনি জানান, পুলিশে অভিযোগ করবেন। দশ মিনিটের মধ্যেই মনিশের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তখন বুঝতে পারেন, উল্টো প্রান্তে থাকা ব্যক্তি সত্যিই পাতিদার ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সিম কার্ড ফিরিয়ে দেন মনিশ।

মূলত কোনো সিম কার্ড ৯০ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকলে ভারতের মোবাইল অপারেটর সংস্থাগুলো তা অন্য কাউকে দিয়ে দেয়। পাতিদারের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। তবে এখন নিজের নম্বর ফেরত পেয়েছেন তিনি।

এএল

Lading . . .