Advertisement

যে কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচ

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

যে কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচ
যে কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচ

সেই শুরু থেকে শোনা যাচ্ছে, এনসিএল টি-টোয়েন্টি হবে ঢাকার বাইরে। ঢাকার বাইরে শুনলেই যে ভেন্যুর নাম সবার আগে উঠে আসে, সেটা হলো চট্টগ্রাম। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও সবার আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টির সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামের নামই উচ্চারণ করেছিলেন। কিন্তু তারপর যত সময় গড়িয়েছে, ততই ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামের নাম হালকা হয়েছে। এখন তো মনে হচ্ছে, এই টুর্নামেন্ট চট্টগ্রামে হবেই না।

রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে না। চট্টগ্রামেও হবে না। তাহলে এনসিএল টি-টোয়েন্টি হবে কোথায়? আর কেনইবা ঢাকা ও চট্টগ্রাম সম্ভাব্য ভেন্যুর তালিকায় নেই? কি কারণে খেলা হবে না রাজধানী ও বন্দরনগরীতে? খুব স্বাভাবিকভাবেই এ প্রশ্ন উঠে আসছে।

বিসিবি পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটি পরিচালক অনেক বিষয়ে কথা বলছেন। আজ বৃহস্পতিবারও ভেন্যু নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তবে কেন রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে খেলা নেই, তা বলেননি।

তবে আজ বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ২ ভেন্যুতে খেলা না হওয়ার কারণ। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর আকরাম খান দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা। তাদের কথার সারমর্ম হলো, আসলে টেকনিক্যাল কারণেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলা আয়োজন করা যাচ্ছে না।

ক্রিকেট অপস চেয়ারম্যান ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘৮ দলের এ আসরে প্রতিদিন ২টি করে ম্যাচ আয়োজন করা ছাড়া আসর চালানো সম্ভব না। আর এক ভেন্যুতে প্রতিদিন দুটি করে খেলা আয়োজন করলে সেই উইকেটের ওপর চাপ পড়বে বেশি। উইকেট দিনকে দিন খারাপ হতে থাকবে। অল্প কদিনেই পিচের মান খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি যে, একটি ভেন্যুতে ক্রমাগত খেলা না চালিয়ে আমরা এমনভাবে ভেন্যু নির্ধারণ করেছি যেন এক মাঠে প্রতিদিন একটির বেশি খেলা চালাতে না হয়। তাই আমরা ভেন্যু হিসেবে রাজশাহী-বগুড়া আর সিলেটকে বেছে নিয়েছি।’

‘সিলেট পর্বে প্রতিদিন দুটি করে খেলা চালানো যাবে। কারণ সিলেট স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরে সিলেট আউটার স্টেডিয়ামও একদম খেলা উপযোগী অবস্থায় আছে। যে কোনো মানের খেলা সেখানে আয়োজন করা যায়। কাজেই সেখানে একসঙ্গে প্রতিদিন দুটি করে না হয় একটি দুপুরে অন্যটি সন্ধ্যায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘আর অন্যদিকে বগুড়া ও রাজশাহীকে এক সেট ধরা হয়েছে। বগুড়া ও রাজশাহীতে প্রতিদিন এক সেটের দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু ভৌগোলিক দিক থেকে দুই ভেন্যুর দূরত্বও কাছাকাছি (৯৫ কিলোমিটার)। তাই এই দুই ভেন্যুতে একসাথে খেলা চালানো যাবে। সে কারণেই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়ামকে এক সেট আর বগুড়া ও রাজশাহীকে এক সেট ধরে ভেন্যু সাজানো হয়েছে এনসিএল টি-টোয়েন্টির।’

টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও একই সুরে কথা বলেছেন। তার ব্যাখ্যা, ‘এটা নিয়ে আমাদের লম্বা একটা সভা হয়েছে। কারণ, ভেন্যু পাওয়াটা আসলে কঠিন ছিল। একই জায়গায় দুইটা মাঠ দরকার। অনেক চিন্তাভাবনা করে আমরা এখন সেটা চিন্তা করেছি বগুড়া, রাজশাহী এবং সিলেট; এই তিনটা জায়গায় আমরা করব। এটাই এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিলেটে আমাদের দিবারাত্রির (ম্যাচ) একটা পরিকল্পনা আছে।সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হয়লো আমরা দিবারাত্রির করব, সেটার জন্যই সিলেটে আমরা পরিকল্পনা করেছি।’

Lading . . .