মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সড়ক বিভাজক সরিয়ে গোলচত্বর নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কর্মসূচি পালিত হয়। এতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নির্মাণের শুরু থেকেই মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গোলচত্বর ছিল। জেলা সদরের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার বাসিন্দা মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হয়ে জেলা সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর আগে সেখানে থেকে চত্বরটি অপসারণ করে সড়ক বিভাজক নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এতে জেলা শহর দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। ফলে বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশের জেলা সদরের একাংশ, সাটুরিয়া ও দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দারা জেলা শহরের মূল অংশে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাঁদের এক কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বেচাকেনাও কমে গেছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে আগের মতো সেখানে গোলচত্বর স্থাপন ও ফ্লাইওভার সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন, রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিন্নাহ খান, জেলা শ্রমিক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাবুল সরকার, সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া, সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন, ভাটবাউর কাঁচামালের আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াদ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী মনির হোসেন প্রমুখ।
গোলাম আবেদীন কায়সার বলেন, সড়ক বিভাজকের কারণে জেলা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড এলাকার আশপাশে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। এতে জেলাবাসীর ভোগান্তি পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পদচারী–সেতু করা হলেও সেখান দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বয়স্ক, রোগী ও শিশুরা। তাঁদের প্রায় এক কিলোমিটার পথ ঘুরে জেলা শহরের দিকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সড়ক বিভাজকের কারণে জেলা শহরটি বিভক্ত হয়ে পড়েছে জানিয়ে জিন্নাহ খান বলেন, শহরে অফিস, আদালত ও স্কুল-কলেজে প্রায় প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহান। পদচারী–সেতু নির্মাণ করা হলেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তা ব্যবহার করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়টি তিনি জেনেছেন। জনগণের দাবির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবেন।