Advertisement

সালথা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতিকে অব্যাহতি

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

ফরিদপুরের সালথায় দলীয় আলোচনা সভা চলাকালে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের উপজেলা সভাপতি মো. ফারুক ফকিরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে জেলা গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক আলামিন হোসেন লিখন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভায় অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ওই বিশৃঙ্খলায় বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী বা উপস্থিত কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয় যে, সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরের সরাসরি ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে সভাটি পণ্ড করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

অব্যাহতি পাওয়ার পর সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক ফকির বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মারামারির ঘটনায় কোনোভাবেই আমার সম্পৃক্ততা নেই। বরং আমি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। নইলে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেত।

যেহেতু আমাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি আমি সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা করব।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া ও সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকির ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে সালথা বাইপাস সড়কে দলীয় কার্যালয় এক আলোচনা সভা চলাকালে ব্যানারে নাম লেখা নিয়ে এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরহাদ হোসেন ও ফারুক ফকিরের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খান। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুর রহমান খানের মধ্যস্থতায় পরিবেশ শান্ত হয়। পরে আলোচনাসভা সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ করা হয়।

আরও পড়ুন

Lading . . .