প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
-68bf5160c0458.jpg)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের বাড়িতে হামলাকারীদের হাতে মৃত্যু হয় রাসেল মোল্লার। স্বামীর মৃত্যুতে আক্ষেপের শেষ নেই রাসেলের স্ত্রী হাসি আক্তারের।
স্বামীর মৃত্যুতে ছেলে ও মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় হাসি আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘাতকরা কেড়ে নিয়েছে আমাদের সব স্বপ্ন। দেড় বছরের শিশু ছেলে রাইয়ান ও ৪ বছরের মেয়ে ইয়াসমিন এখনো জানে না তাদের বাবা আর ফিরে আসবে কিনা। মার কাছে জানতে চায়, বাবা কখন ফিরবে।
মেয়ের এমন আকুতিতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা হাসি আক্তার। ছোট্ট মেয়েকে কীভাবে সান্ত্বনা দেবেন এমন ভাষা তার মুখে নাই।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের জতুমিস্ত্রি পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
সোমবার সরেজমিন রাসেল মোল্লার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, তার কুলখানির বাড়িতে টানানো হয়েছে শামিয়ানা। তার নিচে নাতিন ইয়াসমিনকে নিয়ে বসে আছেন দাদা আমজাদ হোসেন ও পাশে রাইয়ানকে নিয়ে বসে আছেন মা হাসি আক্তার। শিশু ইয়াসমিন বারবার তার মায়ের কাছে জানতে চায়, বাবা কহন আসবে গো মা। নির্বাক মা হাসি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন মেয়ের মুখের দিকে। শিশু মেয়েকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো ভাষা যেন নেই তার।
রাসেলের স্ত্রী হাসি আক্তার যুগান্তরকে বলেন, আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই নুরাল পাগলের ভক্ত ছিল। সেই সুবাদে আমার স্বামী নুরাল পাগলের কাছে মাঝেমধ্যে যেত। গত শুক্রবার সকালে তিনি নুরাল পাগলের বাড়িতে সংঘর্ষে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে সেখানে আবারও আক্রমণ করে ঘাতকরা। হাসপাতালে আরও বেশি আঘাত করা নাহলে আমার স্বামী বাঁচতে পারতেন। ও আল্লাহ আমি এখন আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো।
হাসি আক্তার বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বলবো, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার আমি চাই এবং আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে চাই।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, নিহত রাসেল মোল্লার বাড়িতে আজ কুলখানি হচ্ছে। কুলখানি শেষে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।