প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি বেড়েছে হাজার টাকা (কেজিতে ২৫ টাকা)। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। এ মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল; যা থেকে উৎপাদন হয় ছয় লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ। যদিও মৌসুমে চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণপ্রতি দর পেয়েছিলেন কৃষক।
হঠাৎ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ১ হাজার ৫শ টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হয়েছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে; যা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে— কয়েক দিনের তুলনায় শুক্রবার দাম কিছুটা কমেছে।
এদিকে চাষি ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলার চাষিরা পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত সময়ে পার করায় বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ কমেছে।
সরেজমিন ফরিদপুরের হাজী শরিয়ত উল্লাহ বাজার, কানাইপুর বাজার, উপজেলার সালথা, নগরকান্দা ও বোয়ালমারীর বাজারগুলোতে দেখা যায়, খুচরাপর্যায়ে প্রকারভেদে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজের এই লাগামহীন দরে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা, সরকার পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফরিদপুর শহরের চকবাজার হাটে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, হঠাৎ কেন পেঁয়াজের এত দাম। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত। আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের এত দরে পেঁয়াজ কেনা কষ্টকর।
ফরিদপুরের পেঁয়াজের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাইরের (বিদেশি) পেঁয়াজের আমদানি নেই। এছাড়াও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার কারণেই দর বেড়েছে। তবে আমদানি হলে দাম কমে আসবে।