শরীয়তপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শরীয়তপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. সাইম মাদবর (১৫) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজনদোয়াল গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সাইম।
নিহত সাইম ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম মাদবরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাইম ও হামলাকারীরা একই এলাকার এবং একই গ্রুপের লোক। তারা একসঙ্গে চলাফেরা করে। এক মাস আগে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন সিহাব বেপারী (১৬) নামে এক কিশোরকে মারধর করা হয়।
সেই ঘটনার সূত্র ধরে সিহাব বেপারী ও তার পক্ষের কিশোর গ্যাং মিলে সাইমকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সাইমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলাকারীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের বাবা আব্দুল হালিম মাদবর জানান, স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী শওকত শিকদার ও সোবহান মাদবরের কাছে তিনি ফসলি জমি থেকে দুই লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছিলেন। এর মধ্যে পাওনা ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তারা জোরপূর্বক তার জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করতে থাকে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শওকত শিকদার, সোবহান মাদবর, কাশেম হাওলাদার, হানিফ শিকদার, সিহাব বেপারীসহ তাদের সহযোগীরা মিলে তার ছেলে সাইম মাদবরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, সেটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।