Advertisement

অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার ঘটনায় নবজাতকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন রেহান উদ্দিন।

কমিটির প্রধান করা হয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে দাখিল করার জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুরে একটি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা যাওয়ার পথে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় একটি অ্যাম্বুলেন্স চালক চক্রের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অসুস্থ এক নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতে মামলা করেন ওই নবজাতকের বাবা নুর হোসেন। এতে সিভিল সার্জনের গাড়িচালক তাহের দেওয়ান, তাঁর ছেলে সবুজ দেওয়ান, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অবসরে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সচালক আবদুল হাই ও স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্সচালক বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। সড়ক আটকে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামিকে গতকাল শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জস রেহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখা অপরাধ। নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাটি অমানবিক। ওই অপরাধের সঙ্গে আমাদের কয়েকজন কর্মচারীর জড়িত থাকার কথা গণমাধ্যমে এসেছে। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর যদি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Lading . . .