জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া, ঘুঘু ও ভুবনচিল অবমুক্ত
প্রকাশ: ২১ আগস্ট, ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির টিয়া, হরিয়াল ঘুঘু, ভুবনচিল, কচ্ছপসহ নানা ধরনের বন্য প্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার ফাঁকা জায়গায় প্রাণীগুলো অবমুক্ত করে বন্য প্রাণীসংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিট।
মদনা টিয়া, চন্দনাসহ (অ্যালেক্সান্ড্রিন প্যারাকিট) বিভিন্ন প্রজাতির ৪২টি টিয়া পাখি, ৪টি হরিয়াল ঘুঘু, ৭টি ভুবনচিল, ২টি কালিম ও কয়েকটি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এ আজিজসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বন্য প্রাণীসংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সাভারে নামাবাজার থেকে টিয়াগুলো উদ্ধার করা হয়। অন্য প্রাণীগুলো অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন সময় উদ্ধার করে সুস্থ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্য প্রাণীসংক্রান্ত অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকালে সাভারের নামাবাজারে অভিযান পরিচালনা করে আমরা টিয়াসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় আমরা প্রাণীগুলো এখানে অবমুক্ত করেছি।’
অসীম মল্লিক আরও বলেন, ‘বিভিন্ন বন্য প্রাণী বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, যেটা আসলে বাজারে পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ে এই মেসেজটা পৌঁছে গেছে যে বাজারে গেলে পাখি পাওয়া যায় এবং পাখি বিক্রি করলে টাকা পাওয়া যায়। আমরা এমনও দেখেছি, ক্লাস ওয়ান, টুতে পড়াশোনা করা বাচ্চারা পাখি বিক্রি করতে এসেছে। কারণ, পাখি বিক্রি করলে ৫০–১০০ টাকা পাওয়া যায়। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে এসব ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছি এবং সচেতনতা তৈরি করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, ‘আমরা বলি, “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”। মানে প্রকৃতির কাছেই প্রকৃতির প্রাণীদের ছেড়ে দিতে হবে। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান প্রকৃতির মধ্যেই ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে পরিবেশ টিকে থাকবে। এটা রক্ষা করতে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’