Advertisement

প্রেমিকার হাতে ‘পিস্তল’ তুলে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

কালবেলা

প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

রেস্তোরাঁয় টেবিলে পিস্তল নিয়ে যুগলের খুনসুটি। ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত
রেস্তোরাঁয় টেবিলে পিস্তল নিয়ে যুগলের খুনসুটি। ছবি : ভিডিও থেকে সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে রেস্তোরাঁয় একটি টেবিলে বসে এক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল গল্প করছে। কথার ফাঁকে এক সময় প্রেমিক একটি ‘খোলা আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল)’ বের করে প্রেমিকার হাতে তুলে দেয়। তাতেই প্রেমিকা হাসিতে ফেটে পড়েন। পিস্তল নিয়ে তাক করেন প্রেমিকের দিকে আবার টেবিলের উল্টো পাশের অন্য ব্যক্তির দিকেও। এ সময় সবাই হাসতে থাকেন।

খোলা পিস্তল নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার এমন একটি খুনসুটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরের পরে এমন খোলা অস্ত্র নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে খুনসুটি করা ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টি সবার আলোচনায় চলে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রেস্টুরেন্ট অস্ত্র নিয়ে খুনসুটি করা ওই ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ হোসেন মোড়ল আলিফ (১৮)। তিনি তেলিহাটি ইউনিয়নের এমসি বাজার এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আজাহারুল মোড়লের ছেলে। তার বাড়ি পাশের মুলাইদ গ্রামে। এলাকায় তার নেতৃত্বাধীন একটি কিশোর গ্যাং দল রয়েছে। নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত তার কিশোর গ্যাং দলটি। মারামারি দলবাজি অস্ত্রবাজি আর চাঁদাবাজিতে জড়িত আলিফ ও তার কিশোর গ্যাং দল। তবে এ সময় তার সঙ্গে রেস্টুরেন্টে থাকা প্রেমিকার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্টো পাশে থেকে ভিডিও করা ব্যক্তিকেও শনাক্ত করা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, এমসি বাজার এলাকায় আলিফ ও তার সঙ্গবদ্ধ কিশোর গ্যাংটি এনেহ অপরাধ নাই যা তারা করে না। ছিনতাইসহ চাঁদাবাজি নিত্যদিনের কাজ ওদের। মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে মারামারিসহ সব অপরাধ করে আলিফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। কিছুদিন আগে চাঁদাবাজির ও অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিকের নজরে বিষয়টি আনলে তিনি কালবেলাকে বলেন, এটি পুরোনো ভিডিও। কিছু দিন আগে একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় কিশোর গ্যাং আলিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে এখন কারাগারে আছে। তবে তার কাছে থেকে তখন (গ্রেপ্তারের সময়) কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে সহসায় কিছু বলা যাবে না। যাচাইবাছাই ছাড়া নিশ্চিত করা যাবে না এটি আসল আগ্নেয়াস্ত্র, নাকি খেলনা। তবে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

Lading . . .