জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে কিশোরকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মানিকগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের নকল প্যাডে প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত কর্মী সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে। ওই জাল প্রত্যয়নের বলি হলো এক কিশোর। নকল কাগজ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি) করার আবেদন করতে গিয়েই ধরা পড়েন তিনি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গিলন্ড গ্রামের কিশোর মো. রবিউল হাসান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে গেলে ইউপি সচিবের হাতে ধরা পড়েন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এলাকার প্রভাবশালী জামায়াত কর্মী সেলিম মোল্লা (৪০) তাকে প্রত্যয়নপত্র জোগাড় করে দিয়েছেন। ভোটার আইডি কার্ডে বয়স বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশ্বাস দেন সেলিম। কথায় বিশ্বাস করে কিশোর রবিউল তার ফাঁদে পা দেন।
ভুক্তভোগী রবিউল মৃত সূর্য মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা একই গ্রামের চাঁন মিয়ার (৬৫) ছেলে। তিনি বর্তমানে গিলন্ড বাজারে( ইসলামী ব্যাংকের) এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করছেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সদস্য।
অভিযোগ অনুযায়ী, রাকিব আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় এর নকল প্যাডে প্রধান শিক্ষক সানোয়ার হোসেনের সিল ও সাক্ষর জাল করে প্রত্যয়নপত্র তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো প্রত্যয়নপত্র দেইনি। কাগজটি সম্পূর্ণ জাল। আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার সিল ও সাক্ষর ব্যবহার হওয়ায় আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ পিয়ার আলী বলেন, প্রত্যয়নপত্র হাতে আসতেই আমাদের সন্দেহ হয়। যাচাই করে নিশ্চিত হই এটা জাল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে কিশোরকে সতর্ক করি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানাই। পরে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো জাল প্রত্যয়ন তৈরি করিনি। কেউ আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করছে।
অন্যদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতের আমির ফজলুর হক সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।