Advertisement

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামির তথ্যে অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার ও তিন সহযোগী আটক

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকা থেকে উদ্ধার করা এয়ারগান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অভিযানের সময়ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকা থেকে উদ্ধার করা এয়ারগান। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশের অভিযানের সময়ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন শেখের (৩৫) দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় উপজেলার বরমী এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এয়ারগানসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর তিন সহযোগী আটক হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে অন্তত পাঁচটি স্থানে এ অভিযান চালায় শ্রীপুর থানা–পুলিশ। মামুন আল মুজাহিদ গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী পাঠানটেক এলাকার মুসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক তিনজনের নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। রাত আটটার দিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় টেংরা রাস্তার মোড় এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালান তাঁর সহযোগীরা। এ সময় মামুনকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ ছাড়া শ্রীপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে জানায় পুলিশ। ওই ঘটনার তিন দিন পর ৩১ আগস্ট রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামুনকে আবার গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া সুমন শেখের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে মামুনের এলাকা বরমী ইউনিয়নের বরকুল, পাঠানটেক, বরনল, কুষাদিয়া ও নান্দিয়াসাঙ্গুনে পাঁচটি ঘরের সন্ধান পায় পুলিশ। এগুলোর মধ্যে বরকুল এলাকার ওই ঘর থেকে এয়ারগান, দা, লাঠিসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেখানে কিছুটা দুর্গম স্থানে একটি মাছের ঘেরের পাশে ছোট্ট ঘরে এসব অস্ত্র রাখা ছিল। সেখানে মামুন ও তাঁর সহযোগীরা লোকজনকে আটক রেখে নির্যাতন চালাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মামুনের অপকর্মের সহযোগী হিসেবে তিনজনকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, মামুনের তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Lading . . .