Advertisement

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান নবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামানছবি: সংগৃহীত
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামানছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে রনিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার কাশিমপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।

ওয়াহিদুজ্জামান কাশিমপুর গ্রামের শের বাহাদুরের ছেলে। তিনি দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ও ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশ গতকাল রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের কাশিমপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওয়াহিদুজ্জামানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় হওয়া কোনো মামলায় আসামি হিসেবে তাঁর নাম নেই। পরে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করায় নবাবগঞ্জে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

পুলিশ বলছে, ওয়াহিদুজ্জামান নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁদের সংগঠিত করে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করছিলেন। ৫ আগস্টের পর তিনি প্রথম কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে প্রকাশ্যে আসেন।

এর আগে দোহার-নবাবগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য লিখে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান। গত ১০ বছর রাজনীতিতে ওয়াহিদুজ্জামান অনেকটা কোণঠাসা ছিলেন।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়াহিদুজ্জামান সব সময় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করতে কাজ করতেন। তিনি একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পুলিশ কনস্টেবলকে মারপিট করার অভিযোগ আছে। সেই মামলা পরে প্রভাব বিস্তার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

Lading . . .