প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. আবুল ফজল মুরাদ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সালথা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
পাশাপাশি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন জামায়াতের এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. আজিজুর রহমান, সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল ফজল মুরাদ। তিনি বলেন, গত রোববার পাশের মুকসুদপুরের দক্ষিণ চন্ডিবর্দী গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন আমাকে ও ইউপি সদস্য ওলিয়ার রহমান এবং আরটি হাসানকে জড়িয়ে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা এ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে, তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার গ্রাম হচ্ছে সালথার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চন্ডিবর্দী গ্রামে। আমাদের গ্রামে হাইওয়ে রোডের পাশে উত্তর চন্ডিবর্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি জায়গার ভেতরে খেলার মাঠ তৈরি করে গত ২০ বছর ধরে আশপাশের দশ গ্রামের ছেলেরা খেলাধুলা করে আসছে। চলতি বছর হঠাৎ করে নিলুফা ইয়াসমিন লোকজন নিয়ে খেলার মাঠের অর্ধেক দখলে নিয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে গাছ লাগায়। এতে এলাকার ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করে এবং ফুটবল খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
জামায়াত নেতা আবুল ফজল মুরাদ বলেন, বিষয়টি এলাকার ফুটবল খেলোয়াড়রা আমাকে অবহিত করলে আমি সরেজমিন দেখি, খেলার মাঠটি পুরাপুরি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সালথা থানার ওসিকে অবগত করা হয়। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে সড়ক ও জনপদ বিভাগে গিয়ে সমাধান করার পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে নিলুফা ইয়াসমিন ও তার ভাই সাবেক মুকসুদপুর পৌরসভার ছাত্রলীগ নেতা পলাশ সরদার সালথা প্রেস ক্লাবে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন চাঁদা দাবির ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এতে আমার এবং আমার দলের মানসম্মানের ক্ষতি হয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সালথা উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল ফজল মুরাদ, ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান ও স্থানীয় মো. আরটি হাসানের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সালথা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিলুফা ইয়াসমিন (৫৫) নামে এক বিধবা নারী। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী অভিযোগ করে বলেন- উত্তর চন্ডিবর্দী মৌজায় আমার ৯৩ শতাংশ জমি পতিত রয়েছে। জমিটি পতিত হওয়ায় স্থানীয় যুবক ও তরুণরা সেখানে খেলাধুলা করে। সম্প্রতি ওই জমিতে শতাধিক আমের গাছ লাগিয়ে বেড়া নির্মাণ করি।
গত ৪ আগস্ট সেখানে আরও কিছু গাছ লাগাতে গেলে বাধা দেন জামায়াত নেতা আবুল ফজল মুরাদ, ইউপি সদস্য মো. ওলিয়ার রহমান ও স্থানীয় মো. আরটি হাসান। একপর্যায়ে তারা আমার জমিকে খেলার মাঠ দাবি করে সব গাছ উপড়ে ফেলেন এবং বেড়া ভাঙচুর করেন। তারা আমাকে বলেন- এই জমিতে কিছু করতে হলে আমাদের ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে জামায়াত নেতা মুরাদ আমাকে বলেন, ২৫ লাখ না, আপনি ১২ লাখ টাকা দিলেই হবে।