ফতুল্লায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কার্যালয় ভাঙচুরে উত্তেজনা
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সাইনবোর্ড শাখার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ভাগিনা গ্রুপ। এসময় চেয়ার-টেবিলসহ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হলে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাইনবোর্ড শাখার অফিস ভাঙচুরের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে তাদের গ্রেফতারে ভুইগড় ও দেলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ভূইগড়ের রূপায়ন এলাকায় ভাগিনা গ্রুপ আমাদের কার্যালয়ে এ হামলা চালায়। মাজেদুল, বিপ্লব ও সোহাগের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ডিসি, এসপি এবং ফতুল্লা মডেল থানার ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দ্রুত এই তিনজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোঝা যাবে তারা এ ধরনের দুঃসাহস কোথা থেকে পেল। যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণই তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে আইনের আওতায় আনবে। কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাগিনা গ্রুপের প্রধান বিল্পব হচ্ছেন বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য ও সাবেক এসপি ডিবি হারুন-এর গাড়িচালক। তিনি নিজেকে স্থানীয় প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার ভাগিনা হিসেবে পরিচয় দেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয়দানকারী মাজেদুল।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে সাইনবোর্ড, ভুইগড়, ভুইগড় কাজীবাড়ি, এসবি গার্মেন্টস এলাকা ও আশপাশে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এ গ্রুপ। ভূইগড় রূপায়ন টাউনে মোখলেস নামে এক ব্যবসায়ীর ডিশ ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান দখল করে তারা সেখানে আস্তানা গড়ে তোলে। স্থানীয়রা জানান, এ গ্রুপে নাজমুল, সাজিদ, মামুন, লুঙ্গি বাবু, লিটন, নুরু মেম্বারের ছেলে শাহিনসহ প্রায় দুই ডজন উশৃঙ্খল যুবক রয়েছে। তবে অভিযুক্ত বিল্পব ও মাজেদুলের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন