ট্রাভেল ব্যাগে খণ্ডিত মরদেহ, র্যাব হেফাজতে ৩ জন
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ট্রাভেল ব্যাগে খণ্ডিত মরদেহ রেখে যাওয়ার ঘটনায় তিন জনকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। তাদের র্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়।
হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- টঙ্গীর বর্নমালা এলাকার ফখরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া সাদিক, রনি ও রনির স্ত্রী। তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিত করেনি তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিনা।
এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে ওই মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই একযোগে অভিযান চালিয়ে আসছিল।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেল থেকে অব্যাহত অভিযানের অংশ হিসেবে মাথাটি উদ্ধার হয় টঙ্গীর বর্ণমালা এলাকা থেকে। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হওয়া ভিকটিম নরসিংদীর করিমপুর গ্রামের মো. ওলি (৩৫)। হত্যাকাণ্ডের পর পরিকল্পিতভাবে মরদেহ খণ্ডিত করে মাথাটি আলাদা স্থানে ফেলে রাখা হয়েছিল, যাতে শনাক্তকরণে বিলম্ব হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, মরদেহের মাথা উদ্ধার হয়েছে এবং তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিগগিরই এ নৃশংস হত্যার পেছনের কারণ ও জড়িতদের সম্পূর্ণ চিত্র উন্মোচন হবে বলে আশা করছি।
এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে টঙ্গির স্টেশন রোডের হাজীর বিরিয়ানির সামনে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগটি খুলে এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম মো. অলী (৩৭)। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক। ফাহাদ মিয়া (৮), জিহাদ মিয়া (৬) ও আড়াই বছরের ছোট মেয়ে আনিসা। অলী পেশায় যাত্রীবাহী বাসের হেলপার ছিলেন।